দেশব্যাপী সমালোচনার মধ্যে গ্রেপ্তার আরিফুলকে রোববার জামিনে ছাড়া হলেও তাকে গ্রেপ্তার ও শাস্তি দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে।
রোববার ঢাকার আগারগাঁওয়ে বেতার ভবনে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধনের পর সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “গত ১৩ মার্চ দিবাগত রাতে কুড়িগ্রামে একজন সাংবাদিককে যেভাবে ঘর থেকে ধরে নিয়ে অন্যত্র কোর্ট বসিয়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে, আমার দৃষ্টিতে এটি কোনোভাবেই বিধিসম্মত হয়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল ইতোমধ্যেই তার বক্তব্যে এভাবে মধ্যরাতে অন্যত্র কোর্ট বসানো যায় না বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।
“আমরা যতদূর দেখে আসছি, মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থলেই বসাতে হয়। একজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে অন্যত্র মোবাইল কোর্ট বসানো কোনোভাবেই বিধিসম্মত নয় এবং এটা যেভাবে ঘটানো হয়েছে, তা সমর্থনযোগ্য নয়।”
জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “এবিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ডিসি হোন বা অন্য কর্মকর্তা হোন, যেই হোন, তিনি যদি আইনবহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করে থাকেন, সরকার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যরাও যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারাও এর দায় এড়াতে পারেন না।”
আলোকচিত্র সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার খোঁজখবর করছে।”
মন্ত্রী বেতার মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত সভায় বলেন, “উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি গঠন আমাদের লক্ষ্য, এবং বেতার সেই লক্ষ্য অর্জনে বড় ভূমিকা রাখবে।”
বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার, সংবাদ ও অনুষ্ঠান শাখার উপমহাপরিচালক, পরিচালকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।