করোনাভাইরাস: সচেতনতার বার্তা মানা যাচ্ছে কতটা

টাঙ্গাইলের রেজাউল করিম ঢাকা শহরে অটোরিকশা চালান গত দেড় যুগ ধরে। শুক্রবার দুপুরে সেগুনবাগিচা এলাকায় রাস্তার পাশে একটি টং দোকানের সামনে গাড়ি থামিয়ে একটি কেক খেলেন।

ফয়সাল আতিকতাবারুল হক ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2020, 07:19 PM
Updated : 14 March 2020, 03:50 AM

নভেল করোনাভাইরাস নামে এক রোগ যে ছড়িয়ে পড়েছে, সেই রোগ থেকে বাঁচতে কী করতে হবে সেসব কি রেজাউল জানেন?

তার উত্তর, “এইটা তো শুনতেছি, কিন্তু এখনও তো দেহি না! আমরা তো মূর্খ মানুষ, এইটা নিয়া বেশি কিছু ভাবি নাই।”

তবে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য যে ঘন ঘন হাত ধোয়া উচিৎ, সে কথা শুনেছেন বলে জানালেন এই অটোরিকশা চালক।

“এই যে দেখলেন একটা কেক খাইলাম, হাত তো ধুইতে পারি নাই। রাস্তায় আমি সাবান-পানি কই পাব। ইচ্ছা থাকলেও তো হাত ধোয়া যাবে না। গাড়ি চালানো শেষে বাসায় গিয়া ফ্রেশ হব।”

সারা দুনিয়ার মত বাংলাদেশেও নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক আছে, আছে অনেক ভুল ধারণাও।

নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। এ রোগের বিরুদ্ধে লড়তে বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর।

এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমগুলোও নানাভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া সচেতনতামূলক বার্তাগুলো প্রচার করছে।   

কিন্তু শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে চলতি পথের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, কী করতে হবে আর কী করা যাবে না- সে বিষয়গুলো নিয়ে বেশিরভাগেরই কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই।

আবার বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকায় মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে চাইলেও কতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা সম্ভব সেই প্রশ্নও এসেছে।

 

খিলগাঁও এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষক  সাফায়েত উল্ল্যাহ করোনোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের খোঁজ খবর রাখেন। কী করা উচিৎ আর কী উচিৎ নয়, সে বিষয়েও ধারণা আছে তার। অন্য সবার মত তিনিও সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন।

“হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, রাস্তায়-রাস্তায় লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, মাইকিং করে এই ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা দরকার। কারণ এই শহরে শুরু হয়ে গেলে মোকাবেলা করা আমি মনে করি অনেক কঠিন হয়ে যাবে।”

তবে তার মতে, প্রচার চালানোর পাশাপাশি মানুষ যাতে রাস্তায় বেরিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারে, সেজন্য আরও কিছু করা উচিৎ সরকারের।  

“মানুষ যারা কাজে বের  হয়, তাদের তো লম্বা সময় বাইরে থাকতে হয়। অনেকের সাথে মিশতে হয়, অনেক জায়গায় হাত লাগে। ধোয়ার তো কোনো ব্যবস্থা নাই। মানুষ যেন সাবান দিয়ে হাত ধুতে পারে সেজন্য সরকার থেকে উদ্যোগ নিয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে পানি আর সাবান রাখার ব্যবস্থা করা উচিত। আর এখন সবাইকে বুঝিয়ে জনসমাগম যেন কম হয় সেই ব্যবস্থা করা উচিত।”

ডিসেম্বরের শেষে চীন থেকে ছড়াতে শুরু করা নভেল করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে বিশ্বের ১২৩টি দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, আর মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে পাঁচ হাজারে।

বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তিনজনের দেহে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের মধ্যে একজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুহার এখনও তুলনামূলকভাবে কম হলেও নভেল করোনাভাইরাস অতি মাত্রায় সংক্রামক হওয়ায় স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, ঢাকা শহরের গণ পরিবহন, কাগুজে মুদ্রা আর রাইড শেয়ারিংয়ের মোটর সাইকেল হেলমেট এ ভাইরাস ছড়ানোর বড় মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।

তবে যেহেতু এখনও বাংলাদেশে রোগটি ব্যাপক আকারে ছড়ায়নি, তাই এখনই রাস্তাঘাটে বের হওয়া নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু দেখছেন না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ।

শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “পাবলিক বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ যেসব গণপরিবহণে অনেক মানুষ চলাফেরা করে, সেখানে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তবে বাংলাদেশে এখনই এসব পরিবহন এড়িয়ে চলার মত পরিস্থিতি হয়নি। আর শুধু গণপরিবহণ নয়; যে যে অবস্থায় আছেন, সেখানেই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তির সতর্কতার বিকল্প নেই।”

করোনা ভাইরাস নিয়ে ভীত না হয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দেওয়া কিছু পরামর্শ মেনে চলতে সবাইকে পরামর্শ দিয়েছে সরকার।

>> নিয়মিত জীবণুনাশক বা সাবান বা হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়া উচিত।

>> কাশি বা হাঁচি দিচ্ছেন এমন ব্যক্তি থেকে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা প্রয়োজন।

>> হাত না ধুয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>> হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু বা হাতের কনুই দিয়ে নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।

>> যেখানে সেখানে থুথু ফেলা যাবে না।

>> রান্না করার আগে ভালো করে খাবার ধুয়ে নিতে হবে, যে কোনো খাবার ভালো করে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।

>> কাপড় একবার ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলতে হবে,  বাড়ি এবং কর্মক্ষেত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে।

>> বাইরে ব্যবহৃত জুতা ঘরে ব্যবহার করা যাবে না। খালি পায়ে হাঁটা যাবে না।

>> পরিচিত বা অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে হাত মেলানো বা আলিঙ্গন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

>> জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অন্যের সংস্পর্শ  থেকে দূরে থাকতে হবে।

করোনাভাইরাস: নিরাপদ থাকতে যা করতে হবে

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে ডব্লিউএইচও’র পরামর্শ

করোনাভাইরাস: কোনটি গুজব, কোনটি ঠিক  

বাজারের হালচাল

বাংলাদেশে কাঁচাবাজার মানেই ভিড়ভাট্টা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। শুক্রবার ছুটির দিন বলে ভিড় একটু বেশিই দেখা গেল। তবে কয়েকটি বাজার ঘুরে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার তেমন কোনো চিহ্ন দেখা গেল না।

শান্তিনগরবাজারে মাছের কর্নারে বরাবরের মতই হাঁকডাক করছিলেন বিক্রেতারা। ভিড়ের মধ্যে মাথা এগিয়ে ক্রেতারা দর কষাকষি করছিলেন, যেমন সব সময় করেন।

সেখানে বাজার করতে আসা মালিবাগের বাসিন্দা মোশাররফ হোসেন বললেন, “করোনাভাইরাসে সারাবিশ্বে যেহেতু মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশেও এসে গেছে, তাই আগেভাগে আমাদের সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু আমাদের যা পরিবেশ-পরিস্থিতি, এখানে কতটা সতর্ক হয়ে চলা সম্ভব তা এখন বড় প্রশ্ন।”

মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. সোহেল বললেন, বিদেশের হাসপাতালে হাজার-হাজার মানুষ ভর্তি হয়েছে এরকম কথা তিনি শুনেছেন। তবে বাংলাদেশেও এ রোগ এসে পড়েছে তা তিনি জানতেন না।

এখন সুস্থ থাকতে কী করা উচিৎ, তা জানেন কি না- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমার কী করার আছে, জ্বর-সর্দি হলে হাসপাতালে যাব, টেস্ট করে দেখব।”

সোহেলের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেল, যেসব স্বাস্থ্যবিধি বা পরিচ্ছন্নতার নিয়ম মেনে চলতে বলা হচ্ছে, সেসব নিয়ে কোনো ধারণা তার নেই।

সেখানে বাজার করতে আসা পলাশ চন্দ্র বণিক নামের একজন বললেন, “আমরা ঘরের ভেতরে বেশ সচেতন হয়ে চলি। কিন্তু বাইরে বের হলে সেটা কতটা সম্ভব?

“এই যে আমি বাজারে আসছি, কত মানুষের মধ্যে হাঁটতে হচ্ছে। ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে যান, গায়ে গায়ে ধাক্কা লাগবে।  এগুলো তো আমি ইচ্ছা করলেও এড়াতে পারব না। এই শহরের যে পরিমাণ মানুষ, বাজার, ফুটপাত, শপিং মলে ভিড় তো লেগেই থাকে।”

সংবাদমাধ্যমে বিদেশি যত ছবি আসে প্রায় সব ছবিতেই মাস্ক পরা মানুষের মুখ দেখা যায়। মাস্ক যে ভাইরাস প্রতিরোধে তেমন কার্যকর কিছু না, সেটা বিশেষজ্ঞরা বার বার বলার পরও বাংলাদেশের মানুষ ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রথম যে কাজটি করেছে, তা হল মাস্ক কেনা। আর এ কারণে বাজারে মাস্ক একটি মহার্ঘ্য বস্তু হয়ে উঠেছে বেশ আগেই।

রামপুরা বাজারের হাঁস-মুরগি বিক্রেতা আবদুল আলিমকেও দেখা গেল মুখে মাস্ক পরে বসে আছেন দোকানে।

কারণ জানতে চাইলে বললেন, রাস্তার ধারে দোকান, ধুলোবালি ওড়ে, সে কারণে আগে থেকেই তিনি মাস্ক ব্যবহার করেন। করোনাভাইরাসের কথা তিনিও শুনেছেন, তবে ভয়ের কিছু দেখছেন না।

“আমাদেকে ধরলে কী আর করুম, কিছু করার নাই। আল্লাহ ভরসা।”

নয়াপল্টনে রাস্তার পাশের ফলের দোকানি মো. আলমের কথাতেও পাওয়া গেল একই সুর।

“রোগে ধরলে তো ধরবেই। আমরা তো ফিরাইতে পারব না।”

চলতি পথের চালচিত্র

যানজটের ঢাকায় রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল চলাচলের বাহন হিসেবে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনেক কড়াকড়ি আরোপ করে চালকের সঙ্গে যাত্রীদেরও হেলমেট পরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু যখন যে যাত্রী ওঠেন, তাকে সেই একই হেলমেট ব্যবহার করতে হয়।

ওভাই এর বাইক চালক শ্রাবণ বললেন, কোম্পানির পলিসি অনুযায়ী তাদের ফুলফেইস হেলমেট পরতে হয়। যাত্রীকেও একই ধরনের হেলমেট দেন তারা। কিন্তু হেলমেটের যে অংশটি মুখের কাছে থাকে, তার মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে।

“সেজন্য আমরা প্রতিবার রাইড দেওয়ার পর নিজেদের মত করে হেলমেট মুছে ফেলি। তবে এটা যথেষ্ট কিনা সেটা আমি জানি না।”

ওই রাইডার জানালেন, আগে তাদের মাস্ক দেওয়া হতো। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় কোম্পানি থেকে এখন আর দেওয়া হয় না। জীবাণুনাশক দিয়ে হেলমেট মোছার কথা তিনি ভেবেছেন, কিন্তু সেটা ব্যয়বহুল, আর দোকানে পাওয়াও যাচ্ছে না।

শ্যামলী থেকে টঙ্গী, রামপুরার পথে চলাচলকারী আলিফ পরিবহন, অগ্রদূত পরিবহণ, ভূঁইয়া পরিবহণসহ আরও কয়েকটি পাবলিক বাসে উঠে দেখা গেল, পরিস্থিতি আগের মতই। অধিকাংশ আসন তেল চিটচিটে অবস্থা।

কয়েকজন চালক ও সহাকারী দাবি করলেন, তারা প্রতিদিন সকালে ডিটারজেন্ট পাউডার মেশানো পানি দিয়ে সিটগুলো পরিষ্কার করছেন। তবে এটা ভাইরাস মোকাবেলায় যথেষ্ট কি না, সে ধারণা তাদের নেই।

যাত্রীদের সামনেও বিকল্প কিছু নেই। পেটের তাগিদে তাদের বের হতে হচ্ছে এবং আগের মতই হাতল ধরে বাসে উঠে রড ধরে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করতে করতে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। এত হাতের মধ্যে আক্রান্ত কারও হাত আছে কি না, তা কে বলতে পারে!

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বললেন, উন্নত দেশে যেভাবে গণপরিবহণ পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশে সে সুযোগ তিনি দেখেন না।

“তবুও পরিবহন মালিকরা যাতে করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে গাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেন সেজন্য আমরা বলেছি। গণপরিবহনে যে শুধু যাত্রীরা থাকেন তা তো নয়; সেখানে চালক ও চালকের সহকারীও থাকে, তাদের নিরাপত্তার দিকটাও তো আমাদের ভাবতে হবে।”

এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির চেষ্টায় শনিবার পরিবহন মালিকদের নিয়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে বলে জানালেন এনা পরিবহনের মালিক এনায়েত উল্লাহ।

নভেল করোনাভাইরাস থেকে রেহাই পেতে মাস্ক পরে চা বিক্রির এই ছবি শুক্রবার ঢাকার মহাখালী টিঅ্যান্ডটি বস্তির। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

‘উপরওয়ালা ভরসা’

রাজধানীর মিরপুর, মহাখালী আর আগারগাঁও এলাকার বড় কয়েকটি খাবার হোটেলে গিয়ে দেখা গেল ক্যাশ কাউন্টারে হাত পরিষ্কার করার জন্য হ্যান্ড রাব রাখা হয়েছে। টাকা গোণার পর মাঝেমধ্যে তা হাতে মেখে নিচ্ছেন ম্যানেজার।

তবে ছোটখাটো দোকানে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। অবশ্য সেসব দোকানের কর্মীরা দাবি করলেন, মাঝেমধ্যে তারা সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুরের ষাট ফুট রোডের বারেক মোল্লার মোড়ে পাঁচ ভাই রেস্তোরাঁর ক্যাশিয়ার জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বললেন, “সৃষ্টিকর্তা যেহেতু এই রোগটি পাঠিয়েছেন, তা ঠেকানোর উপায় কারও নেই।”

এই হোটেলে খেতে আসা মেহেদী ফাহাদ বললেন, করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে ঠিক, কিন্তু সেগুলো মেনে চলা খুব ‘সহজ নয়’।

“বিশেষ করে গণপরিবহনের কথা ধরেন, মানুষ তো খুব সহজেই একে অন্যের সংস্পর্শে আসছে, যা ভাইরাস ছাড়ানোর জন্য খুবই ‍উপযোগী।”