শুক্রবার সকালে মোদীর টুইট বার্তার পর পৃথক টুইটে বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও আফগানিস্তানের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধান বা তাদের মুখপাত্ররা এই সমর্থন দেন।
রাতে এক টুইটে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং গঠনমূলক আলোচনার প্রত্যাশা করছেন।”
এর আগে সকালে এক টুইটে মোদী বলেন, “করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে যৌথভাবে একটি শক্তিশালী কৌশল প্রণয়নের জন্য আমি সার্কভুক্ত দেশগুলোর নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব রাখছি।”
ডিসেম্বরের শেষে চীন থেকে ছড়াতে শুরু করা নভেল করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে বিশ্বের ১২৩টি দেশ ও অঞ্চলে। বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, আর মৃতের সংখ্যা পৌঁছে প্রায় পাঁচ হাজারে।
দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্কের সদস্য আট দেশেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে। এর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ৭৪ জনের মধ্যে এ রোগ ধরা পড়েছে, সেখানে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে ভারত অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদেশিদের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে, যা শুক্রবার রাত থেকেই কার্যকর হচ্ছে।
ভারতের ইংরেজি দৈনিক হিন্দু লিখেছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর ভারত সরকার তার নাগরিকদের বিভিন্ন দেশ থেকে সরিয়ে আনতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পথে হাঁটলেও এবার মোদী আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য সার্কের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের আগ্রহ দেখালেন, যে জোট ভারত-পাকিস্তান টানাপড়েনে প্রায় অকার্যকর হয়ে আছে।
মোদী তার টুইটে লিখেছেন, “আমাদের নাগরিকদের কীভাবে সুস্থ রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা করতে পারি। একসঙ্গে আমরা বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করতে এবং একটি স্বাস্থ্যকর গ্রহ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারি।”
রিটুইট করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, সার্ক অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য ’পরীক্ষার এই সময়ে’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও তার প্রস্তাবে সম্মতি জানানো সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনায় একটি কার্যকর উপায় বেরিয়ে আসবে বলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা করছেন।
চীন থেকে ভারতে আসা ২৩ বাংলাদেশি ‘সুস্থ’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে উহান থেকে যে ১১২ জনকে ভারত সরকার ফিরিয়ে এনেছিল, তার মধ্যে ২৩ জন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন।
দিল্লীতে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ওই ১১২ জন ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। শেষ পরীক্ষায় তাদের কারো শরীর প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।