স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও হবে সীমিত আকারে

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানও সীমিত আকারে করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2020, 08:26 AM
Updated : 11 March 2020, 08:28 AM

২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিয়ে বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে তিনি এতথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান সীমিত সংখ্যক আমন্ত্রিত অতিথির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

“২৫ ও ২৬ মার্চ পালনকালে ব্যাপক জনসমাবেশকে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। ওই দিবস উপলক্ষে কোনো আউটডোরে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ওভারহেড তোরণ কিছুই করা হবে না।উন্মুক্ত স্থানে জনসমাগম না করার জন্য আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এটা করোনাভাইরাসের জন্য, এটা যাতে আর না ছড়ায়।”

তবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সাভারে আসা-যাওয়াসহ সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে বরাবরের মতো ‘নিরাপত্তা জোরদার’ থাকবে বলে তিনি জানান।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামসহ দেশের সকল বিভাগ ও জেলা উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ আয়োজন করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানাবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

“পিএম অফিস সিদ্ধান্ত জানালে, এটা যদি হয় তাহলে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেখানেও জোরদার থাকবে।”

এর আগে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান স্থগিত করে জনসমাগম এড়িয়ে ছোট কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান ঠিক হয়েছিল, সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিশ্বের প্রায় একশ দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় ওই আয়োজনে লাগাম টানা হয়।

স্বাধীনতা দিবসে দেশের সব হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠানে প্রতিবারের মত এবারও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে বলে তিনি জানান।

সারা দেশে একই সময়ে তোপধ্বনি করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “আমরা লক্ষ্য করেছি একেক জেলায় একেক সময় হয়, কেউ পাঁচ মিনিট পরে করে, কেউ দুই মিনিট পরে করে, আগে করে এরকম; এটা যাতে একসঙ্গে হয় সেজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করছি তারা যেন সময়টা জানিয়ে দেয়।”

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর প্রধান ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।