সোমবার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে একথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই তা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়ার কথা রোববার যে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল আইইডিসিআর, তাতে সংস্থার পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেছিলেন, স্কুল-কলেজ এখনই বন্ধের প্রয়োজন নেই।
তিন মাস আগে চীনে সংক্রমণ ঘটার পর বিশ্বের শতাধিক দেশের লাখো মানুষকে আক্রান্ত এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি মৃত্যু ঘটানোর পর বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে ইতালি, জাপান, সৌদি আরব সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এলে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হচ্ছে কি না?
উত্তরে তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে বহিরাগতরা না আসায় ঝুঁকি কম থাকায় সেগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলবে।
“স্কুল এখন স্বাভাবিকভাবে চলবে। পরবর্তী নির্দেশনা অন্য রকম যদি আসে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আমাদের পরামর্শ তখন আমরা দেব।”
সামাজিক অনুষ্ঠানগুলো সীমিত করার কথা বলা হলেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুই থেকে তিন হাজার শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা নিয়মিত যান।
তাতে ঝুঁকি থাকে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,“স্কুল-কলেজে নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রী আসে, সেখানে তো বহিরাগতরা আসে না। তাই আশঙ্কটা খুবই কম। ঝুঁকিটা খুবই কম।”
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে একটি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, “করোনাভাইরাস সম্পর্কে জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর-এর মতামত অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার মতো এখনও পরিস্থিতি হয়নি।
“শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষেশজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রেরণ করা হচ্ছে।”
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সামাজিক অনুষ্ঠান ও খেলাধূলার অনুষ্ঠান সীমিত করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “বিয়ে বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নানান জায়গার লোক আসে, কে কোথা থেকে আসছে, তা জানা যায় না। সেখানে সাবধানতা অবলম্বন করা খুবই প্রয়োজন। কোরিয়া ও ইরানে ছড়িয়েছে চার্চ ও মসজিদ থেকে।”
বায়তুল মোকাররম ও ধর্মীয় উপাসালয়গুলোতে সমাগম নিষিদ্ধ করা হবে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, “ধর্ম মন্ত্রণালয়ে বলেছে, মসজিদ মাদ্রাসাসহ প্রায় ৩ লাখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেখানে তারা সতর্কবার্তা জানাবে। এ বিষয়ে সময় সময় অবস্থা বুঝে পরামর্শ দেব, সে সিদ্ধান্ত তারা নেবে।”
আরও খবর