করোনাভাইরাস: মুজিববর্ষের ১৭ মার্চের মূল অনুষ্ঠান স্থগিত

প্রায় একশ দেশে ছড়িয়ে পড়ার পর বাংলাদেশেও নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান কাটছাঁট করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 March 2020, 05:30 PM
Updated : 8 March 2020, 06:43 PM

আগামী ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারের মূল অনুষ্ঠান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি।

সেদিন ছোট আকারে সীমিত পরিসরে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “১৭ মার্চের প্রোগ্রাম আপাতত স্থগিত। তা পরে করা হবে।”

রোববার বিকালে বাংলাদেশে তিনজন কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ার কথা আইইডিসিআর জানানোর পর রাতে বৈঠকে বসে জাতীয় কমিটি।

গণভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বাস্তবায়ন জাতীয় কমিটির এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় কমিটির সদস্য শেখ রেহানাও বৈঠকে ছিলেন।

ওই সভায় অনুষ্ঠান সীমিত করার নির্দেশনা আসে জানিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, “বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে যে বিশ্ব পরিস্থিতি, সে পরিস্থিতি বিবেচনায়  এনে …..

“আপনারা জানেন যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। জনগণ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্যই সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে মুজিববর্ষ উদ্বোধনের মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।

১৭ মার্চ উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে না হয়ে অন্য স্থানে হবে।

শেখ হাসিনা কখন, কোথায় এই আয়োজন উদ্বোধন করবেন, তা পরে জানানো হবে বলে জানান কামাল নাসের।

প্যারেড স্কয়ারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি বিদেশি অতিথিদেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল।

বিদেশি অতিথিদের যোগ দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল চৌধুরী বলেন, “প্রোগ্রামটি পরে বড় আকারে হবে। এই আয়োজনটি পরে ভিন্নমাত্রায় করা হবে।”

মুজিববর্ষে অনুষ্ঠান কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

তিনি বলেন, “ব্যাপক জনসমাগম এড়িয়ে উদযাপন করা হবে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান। ছোট আকারে সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে আয়োজন করা হবে।”

১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা শহর ও বিভিন্ন স্থানে ৩১ বার তোপধ্বনি, সব সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরুর কথা।

ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, টুঙ্গীপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশব্যাপী বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা আয়োজন করা হবে।

এদিন জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

কামাল চৌধুরী বলেন, “আমরা বছরব্যাপী অনুষ্ঠানমালা তৈরি করেছি। ১৭ মার্চে যে অনুষ্ঠান এবং সারা বাংলাদেশে যে অনুষ্ঠানগুলো হবে। তবে সেখানে বড় আকারে জনসমাগম পরিহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য কর্মসূচি চলবে সীমিত আকারে।”