ইশরাকের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় বাদীর সাক্ষ্য

বিএনপির প্রয়াত নেতা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বাদীর সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2020, 01:29 PM
Updated : 3 March 2020, 01:29 PM

মামলার বাদী  দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক শামসুল আলম মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতে তার জবানবন্দি উপস্থাপন করেন। পরে  আসামি ইশরাক হোসেনের আইনজীবী বাদীকে জেরা করেন।

সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক শেখ নাজমুল আলম আগামী ৭ এপ্রিল এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সেদিন কনস্টেবল আবু তালেবের সাক্ষ্য দেওয়া কথা রয়েছে, যিনি সম্পদের হিসাব চেয়ে দুদকের নোটিস ইশরাকের ঠিকানায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। 

ইশরাকের পক্ষে এদিন বাদীকে জেরা করেন আইনজীবী নূরুজ্জামান তপন। রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোলাম হায়দার চৌধুরী।

ঢাকার সাবেক মেয়র খোকার ছেলে ইশরাক গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন। ওই নির্বাচনের প্রচার চলার মধ্যেই গত ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে নয় বছর আগের এ মামলায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সম্পদের তথ্য-বিবরণী চেয়ে দুদক ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তার বোন সারিকা সাদেককে আলাদা নোটিস দিয়েছিল।

নোটিসে তাদের নিজের নামে এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ‘স্বনামে বা বেনামে’ বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎসসহ বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল।

কিন্তু তারা তা না দেওয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। ইশরাক ও সারিকা দুদকের নোটিস চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করলেও বিফল হন।

২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।

এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাই কোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে।