মূল্য নির্ধারণে কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা এবং সিলিন্ডারে গায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য প্রদর্শনে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানা ফের বিইআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান পরে সাংবাদিকদের বলেন, “বিইআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কোনো কিছু না জানানোয় আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়ার পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন না দেওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক। এরপর আদালত ১ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।”
এলপিজি গ্যাসের দাম ও ব্যবসায়ীদের কারসাজি নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এলপিজি গ্যাসের মূল্য নির্ধারণে কমিশন গঠন এবং নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য সিলিন্ডারের গায়ে প্রদর্শনের নির্দেশনা চেয়ে গত ১৩ জানুয়ারি জনস্বার্থে রিটটি করেছিলেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।
সে রিটের প্রাথমিক শুনানি করে আদালত গত ২০ জানুয়ারি রুল জারি করে।
এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে প্রদর্শনের জন্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণে কমিটি গঠনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
পাশাপাশি খুচরা মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য প্রদর্শনের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে বিইআরসির চেয়ারম্যানকে প্রায় দেড়মাস সময় দিয়ে রোববার শুনানির দিন রাখা হয়েছিল।
কিন্তু অন্য বিবাদীরা আদালতের আদেশে সাড়া দিলেও বিইআরসির চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, খোলা বাজারে বিক্রির সময় এলপিজি সিলিন্ডারের গায়ে মূল্য লেখা না থাকায় বিক্রেতারা যে যার মত দাম নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।