শুক্রবারসকাল ৯টার দিকে বাঁশবাড়ির ১৩/জি হোল্ডিংয়ে ওই ভবনের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে বলে ফায়ারসার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক বজলুর রশিদ জানান।
মাবিয়া নামের৬০ বছর বয়সী ওই নারী চলৎশক্তি হারিয়ে দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসকর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, বৃদ্ধার বিছানার সঙ্গে দুটো চিকিৎসা সরঞ্জাম ছিল, যেগুলোবিদ্যুতে চলে।
“সেই মেশিনথেকে শর্টশার্কিট হয়ে বিছানায় আগুন লাগে; তাতেই তিনি দগ্ধ হয়ে মারা যান।”
খবর পেয়েসকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ওই বাসায় পৌঁছান। তার আগেই স্থানীয় লোকজন এসেআগুন নিভিয়ে ফেলে।
আগুনে দুটিঘরের বেশকিছু মালামাল পুড়ে গেছে বলেবজলুর রশিদ জানান।
মাবিয়ারস্বামী পরম আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী শরীরেরঘা শুকানোর জন্য একটি মেশিন এবং থেরাপির জন্য একটি মেশিন তার স্ত্রীর বিছানায় পাশেলাগানো ছিল।
“আমি নিচেনেমেছিলাম চা খাওয়ার জন্য। আমার ছেলের বউ ছিল বাসায়। ফিরে দেখি এই অবস্থা।”
বৃদ্ধারনাতি জাহেদ আলী জানান, ঘরে আগুন লাগার পর চিৎকার চেঁচামেচিতে সবাই বেরিয়ে যান। কিন্তুতার দাদীর পক্ষে বের হওয়া সম্ভব ছিল না।