টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের দুদিন বাদে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
‘দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান শক্তিশালীকরণ উদ্যোগ- বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর একটি ফলো আপ গবেষণা’ প্রতিবেদনে টিআইবি বলেছে, দুদক সরকারবিরোধীদের উপর খড়গহস্ত হলেও ক্ষমতাসীনদের বেলায় নমনীয়।
মঙ্গলবার সেই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছিলেন, “মাঝেমধ্যে দুদক সরকারি দলের এমপিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকেন। ওই পর্যন্তই। এরপর আর কোনো কিছু দেখা যায় না।”
ওবায়দুল কাদের বলেন,“দুদক ততটুকুই স্বাধীন যতটুকু সরকার চায়- যদি তাই হয়, তাহলে সরকারের এত মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের আজকে এত তদন্ত, এত চার্জশিট কেন?
“সরকারের অনেক এমপি, মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদক দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। যদি দুদক স্বাধীন না হত তাহলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা কেন টার্গেট হবে? তাদের কাছে আমার পাল্টা প্রশ্ন।”
খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা বিষয়ে এক প্রশ্নে কাদের বলেন, “করাপশন ইজ করাপশন। এটা ২০০ কোটি, না ২ কোটি, এটা আমি দেখব না। যখন আপনারা ন্যায়বিচারের দিকে যাবেন, করাপশনের পারসেপশানটা নিয়ে ভাববেন, তখন আপনি কী ভাববেন? এক্ষেত্রে টাকার অংকটা ভাবেন, না করাপশনটা হয়েছে, সেটা দেখবেন।’
“বিষয়টা হচ্ছে করাপশন হয়েছে কি না? টাকার অঙ্ক দিয়ে তো দুর্নীতি পরিমাপ করা যাবে না। এক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, একই সঙ্গে এতিমের অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এখানে মারাত্মক একটা দুর্নীতি হয়েছে।”
এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানমালা উদ্বোধনের আগেই তা উদ্বোধন হবে।
“মুজিববর্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে দেশি-বিদেশি অনেকেই যাবেন। সে যাত্রার সময় বাঁচানো ও সহজ করার বিষয় রয়েছে। এটা অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ে। কাজ শেষ হয়েছে এখন উদ্বোধন হবে।
“তবে প্রধানমন্ত্রী কর্মব্যস্ততার কারণে আপাতত উনি বিষয়টিতে দুইভাবে ভাবছেন। তিনি ভাবছেন আগামী ১৭ মার্চ উপলক্ষে বাই রোডে তিনি টুঙ্গিপাড়া যাবেন। তার আগেই ১১-১২ মার্চ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এটি উদ্বোধন করবেন।”