ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দিলু রোডের একটি পাঁচতলা ভবনের গ্যারেজে আগুনের সূচনা হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় ৫টা ৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরশাদ হোসাইন বলেন, আগুন নেভানোর পর উদ্ধারকর্মীরা ওই ভবন থেকে এক শিশুসহ তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
একজন পুরুষের মৃতদেহ পাওয়া যায় গ্যারেজে। একটি শিশুসহ দুজনের মৃতদেহ ছিল তিনতলার সিঁড়িতে।”
নিচতলায় যার মৃতদেহ পাওয়া গেছে, তার নাম আব্দুল কাদের লিটন, বয়স ৪০ বছর।
বাকি দুজনের মধ্যে শিশুটি ওই ভবনের তৃতীয় তলার বাসিন্দা শহিদুল কিরমানী রনি ও জান্নাতুল ফেরদৌস দম্পতির সন্তান এবিএম রুশদী বলে ধারণা করছেন স্বজনরা।
জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাই শাহাদাত হোসেন বিপ্লব বলেন, “বাচ্চাটার শরীর এতটাই পুড়ে গেছে যে চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু আমার ভাগ্নেকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
৩৯ বছর বয়সী রনি এবং ৩৪ বছর বয়সী জান্নাতও এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানান, রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ এবং জান্নাতের ৯৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
জান্নাতের ভাই বিপ্লব বলেন, “আমি আহত অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি। উনি বলেছেন, আগুন লাগার পর রনিরা তিনতলা থেকে বের হওয়ার সময় রুশদী ওদের হাত থেকে ছিঁটকে পড়ে।”
অন্য আরেকটি মৃতদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি জানিয়ে হাতিরঝিল থানা পুলিশ বলছে, ওই মৃতদেহটি পুরুষের না নারীর, তাও বাহ্যিকভাবে দেখে বোঝা কঠিন।