বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন বুধবার এই আদেশ দেন। আগামী ৫ এপ্রিল এই মামলার শুনানির দিন রয়েছে।
মামলার বাদী মিলার সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারীর অন্যতম আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের উপ-পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিলার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “মিথ্যা ও অপমান অপদস্থ করার অভিপ্রায়ে মানহানিকর তথ্য প্রচার করার অভিযোগে মিলার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ (২)/২৯(১) অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
গত বছর ২১ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মিলার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন পারভেজ সানজারী।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় সানজারি বলেন, মিলা ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল দুপুর ১টা ৫ মিনিটে তার ফেইসবুক পেইজ এবং দুপুর ১টা ১০ মিনিটে তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন।
“সেখানে আমাকে, আমার পরিবার ও সহকর্মীদের নোংরা ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে।”
একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে মিলার বিয়ে হয় ২০১৭ সালের ১২ মে। তবে সেই সংসার বেশি দিন টেকেনি। ওই বছরেরই ৬ অক্টোবর রাত ৩টায় ফেইসবুকে মিলা জানান, পারভেজ সানজারির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়েছে।
যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ওই বছর ৫ অক্টোবর উত্তরা পশ্চিম থানায় সানজারির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মিলা।
ওই মামলা চলার মধ্যেই গত ৬ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় আরেকটি মামলা করেন সানজারির বাবা এসএম নাসির উদ্দিন।
সানজারির গায়ে অ্যাসিড হামলার অভিযোগে মিলা ও তার সহকারী জন পিটার হাওলাদার কিমকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।
সানজারির অভিযোগ, মিলার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মিলার সহকারী পিটার কিমই তার শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন।