প্রাথমিকে শিগগিরই সহকারী প্রধান শিক্ষক

সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে শিগগিরই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ তৈরি করা হবে বলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম-আল-হোসেন জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2020, 12:28 PM
Updated : 25 Feb 2020, 12:41 PM

তিনি বলছেন, প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেডের মধ্যে একটি গ্রেড সহকারী প্রধান শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সচিবালয়ে মঙ্গলবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর বৃত্তির ফল ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টির অগ্রগতি তুলে ধরেন গণশিক্ষা সচিব।

তিনি বলেন, “প্রধান শিক্ষকেরা দুই গ্রেডে বেতন পেতেন, প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১১তম এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা ১২তম গ্রেডে। অর্থ বিভাগ দুই গ্রেডের একটাই স্কেল করে ১১তম গ্রেড দিয়েছে।

“আর সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা ১৪তম এবং প্রশিক্ষণবিহীনরা ১৫তম গ্রেডে বেতন পেতেন। এখন সবার একটাই স্কেল ১৩তম গ্রেড।”

সচিব বলেন, “মাঝখানে ১২তম গ্রেডে সহকারী প্রধান শিক্ষকের একটি পদের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছি, এটা একেবারে শেষ পর্যায়ে আছে। অর্থ বিভাগ যে অনুমোদন দিয়েছে (সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড উন্নীত করে) সেই চিঠিতেও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেড রাখা হয়।

“গত সপ্তাহেও আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি, সেটা পাওয়া গেলেই আমরা অর্থ বিভাগে পাঠাব। পদ সৃষ্টির জন্য সচিব কমিটিতে যেতে হয়, ওইসব প্রক্রিয়া শেষ করে আমরা আশা করছি এটা দ্রুত সচিব কমিটিতে নিয়ে যেতে পারব।”

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের নবম গ্রেডে উন্নীতের বিষয়ে এক প্রশ্নে সচিব বলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা ১০ম এবং উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা নবম গ্রেডে আছেন।

“আমরা প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে প্রস্তাব করেছিলাম, কিন্তু অর্থ বিভাগ বলেছে যেহেতু প্রধান শিক্ষকদের সুপারভিশন অফিসার হচ্ছে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা, আর তাদের গ্রেড ১০, সে কারণে তাদের দেওয়া হয়নি। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কোনো বিরোধিতা ছিল না।”

সচিব বলেন, “প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দিলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতে পারে, কারণ ১০ম গ্রেডের লোক কীভাবে ১০ম গ্রেডের লোককে আবার কন্ট্রোল করবে, সুপারভিশন করতে পারবে?”

১৯৮৫ সালের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কোনো নিয়োগ বিধিমালা নেই জানিয়ে সচিব আকরাম বলেন, “আমরা নিয়োগ বিধিমালা তৈরি করে জনপ্রশাসনে পাঠিয়েছি, এটা সচিব কমিটিতে গেছে।

“আমাদের পিডিপি-৪ অনুযায়ী নতুন নিয়োগ বিধিমালা করতে হবে। সেটাতে আমরা একটা নিয়োগ বিধিমালা করব, এখন সহকারী ও প্রধান শিক্ষক এবং অফিস সহায়ক থেকে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পর্যন্ত দুটি বিধিমালা আছে। এখন একটা বিধিমালা তৈরি করার জন্য কনসালট্যান্টকে নির্দেশ দিয়েছি। আগামী এক মাসের মধ্যে সেটা আমাদের কাছে উপস্থাপিত হবে। এই বিধিমালার মধ্যে সব পরিষ্কার করা থাকবে।”

এক প্রশ্নে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, “আমরা ১৮ হাজার ১৪৭ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলাম। কিছু জেলায় হাই কোর্টে রিট করার কারণে দিতে পারিনি। আমরা আইনি লড়াই করছি। খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।”

গণশিক্ষা সচিব জানান, হাই কোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৭টি আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ পাওয়া গেছে। বাকি ৪০/৪৫টি মামলা স্থগিতের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।