আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সাবিনা ফ্লোরা জানান, দক্ষিণ কোরিয়ার ওই ব্যক্তি মঙ্গলবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর হেলথ স্ক্রিনিংয়ে তার জ্বর পাওয়া যায়।
“সতর্কতা হিসেবে তাকে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে জ্বর থাকলেও করোনাভাইরাস বা ভয় পাওয়ার মত কিছু এখনও পাওয়া যায়নি।”
অধ্যাপক ফ্লোরা জানান, ওই বিদেশি নাগরিকের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, পরীক্ষা করলেই সব নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মত উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। গত ডিসেম্বরের শেষে মধ্য চীনের উহান থেকে ছড়াতে শুরু করা এ রোগ ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে ৩৫টির বেশি দেশ ও অঞ্চলে।
নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জানুয়ারি থেকে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে হেলথ স্ক্রিনিংয়ের এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারও মধ্যে উপসর্গ দেখা গেলে পাঠানো হচ্ছে হাসপাতালে।
ইতোমধ্যে আশি হাজারের বেশি মানুষকে আক্রান্ত করে ২ হাজার ৬৯৮ জনের মৃত্যু ঘটিয়েছে এ ভাইরাস। সিঙ্গাপুরে পাঁচ প্রবাসী বাংলাদেশি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে একজনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লেও বাংলাদেশের ভেতরে এখনও কেউ আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।