সোমবার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শহিদুল ইসলাম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাসুদ শাহ (২২), হারুন হাওলাদার (২৪), সাজেদুল ইসলাম সজল (২৪), সোহাগ শরীফ (২৩), সাকিব হাসান সিজার (২৫), মেরাজুল শেখ (২৫), আনোয়ার হোসেন হৃদয় (২৪) ও শাহ ইমাম হাসান রনি (২৭)।
আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা সাজেদুল ইসলাম সজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী দুলাল মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
রায়ের পর আইনজীবী দুলাল মিয়া বলেন, “আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও ১০ বছর কারাদণ্ড উপযুক্ত সাজা বলে আমরা মনে করছি না। আমরা এই রায়ে সংক্ষুব্ধ এবং রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করব।”
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, উত্তর যাত্রাবাড়ীর রজনীগন্ধা রোডের নিজস্ব বাড়িতে নিগার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন। সেই বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ২০১৫ সালের ২১ মে দুই যুবক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিচয়ে ভাড়া নেন।
পরদিন রাতে ওই দুই যুবক বাড়ির মালিকের ফ্ল্যাটের কল বেল চাপলে নিগার দরজা খুলে দেন। তখন দুই যুবকের সঙ্গে থাকা আরও ৫/৬ জন জোর করে ফ্ল্যাটে ঢুকে যায়। সে সময় নিগার চিৎকার করলে তার মাথায় চাপাতি দিয়ে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
অস্ত্রের মুখে নিগারের বাবা-মাকে হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে স্বর্ণালঙ্কার, টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায় যুবকরা। পরে তাদের চিৎকারে অন্য ফ্ল্যাটের লোকজন এসে নিগারের বাবা-মাকে উদ্ধার করেন।
খবর পেয়ে নিগারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ মে নিগারের মা তহুরা খাতুন (৬০) যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর এসআই পরিমল চন্দ্র দাস আটজনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় ডাকাতির সময় হত্যার অভিযোগে অভিযোগপত্র দেন আদালতে।
২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটির বিচার শুরু হয়। গত ২৮ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত রায়ের জন্য সোমবার দিন রেখেছিল।