এক বছরে গণপরিবহনে নির্যাতিত ৫৯ নারী: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

গতবছর দেশে ৫২টি ঘটনায় গণপরিবহনে ৫৯ জন নারীর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার তথ্য এসেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2020, 09:04 AM
Updated : 24 Feb 2020, 09:23 AM

সোমবার সমিতির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ বিশ্লেষণ করে তারা এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়ক পথে ৪৪টি, রেলপথে চারটি ও নৌপথে চারটি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে গতবছর।

এর মধ্যে ১৬টি ধর্ষণ, ১২টি গণধর্ষণ ছাড়াও ধর্ষণের চেষ্টা নয়টি ও যৌন হয়রানির ১৫টি ঘটনা ঘটেছে। ৪৪টি ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় নারীরা অসম্মানজনক আচরণ, নিপীড়ন, হেনস্তা, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। শুধু পরিবহন শ্রমিক, চালক, হেলপারই নন, কখনও কখনও সহগামী পুরুষযাত্রী দ্বারাও যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন তারা।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর শুধু নারী নির্যাতনের প্রতীকী চিত্র বহন করে।

“প্রকৃতপক্ষে ঘটনার ভয়াবহতা অনেক বেশি। রক্ষণশীল সমাজ হিসেবে বাংলাদেশের নারীদের লোকলজ্জা, সামাজিক মর্যাদা, মামলা করে হয়রানি এবং বিচারের দীর্ঘসূত্রতার কারণে অসংখ্য ঘটনা চাপা পড়ে যাচ্ছে।”

নারী নির্যাতন বন্ধে গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো, গণপরিবহনে যৌন সহিংসতার মামলা, গ্রেপ্তার ও বিচার দ্রুত শেষ করা, সিসি ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক, চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের নেইম প্লেইটসহ পোশাক বাধ্যতামূলক, তাদের নিয়োগপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়ে ডাটাবেইজ তৈরি, গাড়ির ভিতরে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের হটলাইন নম্বর, ফোন নম্বর ও গাড়ির নম্বর লাগানো, বাস-মিনিবাসে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন দরজার পাশে রাখা, অস্বচ্ছ ও বিজ্ঞাপনে মোড়ানো কাঁচের ব্যবহার বন্ধ করার সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।