রোববার বিদ্যুৎভবনে নতুন এই সেবা উদ্বোধনের পাশাপাশি ডিপিডিসি কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নারও উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
এসময় তিনি বলেন, সরকার মুজিব বর্ষকে সেবাবর্ষ হিসাবে ঘোষণা করেছে। তারই অংশ হিসাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তির প্রি-পেইড মিটার রিচার্জ চালু করা হল।
“লাখ লাখ গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার দেখে বিল তৈরি করা সত্যিই দুরূহ ব্যাপার। এর জন্য প্রচুর জনশক্তি প্রয়োজন, যা কোম্পানিগুলোর নেই। ফলে অফিসে বসে ভুতুড়ে বিল তৈরির যে অভিযোগ ছিল, নতুন এই প্রযুক্তির সংযোগে তা দূর হবে।”
ঢাকা শহরকে কেন্দ্রে করে প্রায় ১২ লাখ গ্রাহকের মাঝে বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে যাচ্ছে ডিপিডিসি। এসব গ্রাহকের কাছ থেকে মাসে অন্তত ৬০০ কোটি টাকার বিল আসে ডিপিডিসিতে।
এর মধ্যে চাল লাখ গ্রাহক বিভিন্ন ডিজিটাল ওয়ালেট ও পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করে বিদ্যুতের বিল দিয়ে থাকেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ইউসিবির মোবাইল ওয়ালেট ইউক্যাশ ব্যবহার করে মিটার রিচার্জ করা যাবে বলে ডিপিডিসি জানায়।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, “আমরা নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে চাই। যে কারণে ব্লকচেইন প্রযুক্তি চালু করা হচ্ছে।”
প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হেসক্লাউড বাংলাদেশের প্রযুক্তি কর্মকর্তা তারেক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ব্লকচেইনে তিন স্তরে নিরাপত্তা বেষ্টনি রয়েছে। হেসিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার কম্পিউটারে তথ্য সংরক্ষণ, কোড ভাষা ব্যবহার করে লেজার বুক তৈরি এবং গ্রাহক ডাটাবেইজ। এর ফলে কেউ চাইলেও মিটারের কোনো তথ্য হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে কারসাজি করতে পারবে না।
তবে নতুন এই প্রযুক্তিতেও শতভাগ ডিজিটাল পদ্ধতিতে মিটার রিচার্জ করা যাচ্ছে না। অনলাইনে বিল পরিশোধ করার পর যে টোকেন নম্বর তৈরি হবে সেটা বাসায় থাকা প্রি-পেইড মিটারে ইনপুট দিয়ে রিচার্জ সম্পন্ন করতে হবে। তবে স্মার্ট মিটারের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিচার্জ করা সম্ভব হবে হেসক্লাউড জানিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব সুলতান আহমেদ বলেন, “গ্রাহকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে সবচেয়ে ভালো হবে। তাতে কম খরচে সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”