ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী জানান, সিআইডির দেওয়া অভিযোগপত্রটি রোববার আদালতে জমা পড়ে।
খালেদ ও তার দুই ভাইসহ মোট ছয়জনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “এই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে মাদক, অস্ত্র, টেন্ডার-চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অবৈধ উপায়ে অর্জিত আয় স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও পাচারের চেষ্টা করেছেন বলে তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।”
আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, তার দুই ভাই মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও হাসান মাহমুদ ভূঁইয়া, খালেদের কর্মচারী মোহাম্মদ উল্ল্যাহ খান এবং দুই সহযোগী হারুন রশিদ ও শাহাদৎ হোসেন উজ্জ্বল।
তাদের মধ্যে খালেদ এবং মোহাম্মদ উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। মোহাম্মদ উল্ল্যাহ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বাকিরা পলাতক বলে জানিয়েছেন সিআইডি কর্মকর্তা ইমতিয়াজ।
ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর ক্লাবের সভাপতি খালেদকে গুলশানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
তার কাছ থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র (এর মধ্যে একটি অবৈধ), গুলি এবং ইয়াবা জব্দ করা হয়। পাশাপাশি ইয়ংমেনস ক্লাব থেকে বিদেশি মদ ও ক্যাসিনোর সরঞ্জাম জব্দ করে র্যাব।
এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর তার নামে গুলশান ও মতিঝিল থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে মোট চারটি মামলা করা হয়। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদের বিরুদ্ধে ২১ অক্টোবর আরেকটি মামলা করে দুদক।
এর মধ্যে গুলশান থানায় করা মানি লন্ডারিং আইনের মামলাতেই রোববার অভিযোগপত্র দিল সিআইডি।
সিআইডির ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, খালেদ বিদেশে যাওয়ার সময় কখনোই তার পাসপোর্টে ডলার এনডোর্স করতেন না। এভাবে তিনি বিদেশে ‘অর্থ পাচার’ করতেন। মালয়েশিয়ায় একটি ব্যাংকে তার ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে।
“মালয়েশিয়া ছাড়াও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে খালেদের অর্থ পাচারের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে সিআইডির কাছে। এসব টাকার অধিকাংশ তার সহযোগীদের মাধ্যমে হুন্ডি করে পাচার করেছেন তিনি।”