শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)।
বাপুসের সভাপতি মো. আরিফ হোসেন বলেন, “শিক্ষা আইন-২০১৯ এর খসড়ায় অনুশীলনমূলক বই আর নোট- গাইড বইকে একই মাপকাঠিতে ফেলে বিধিনিষেধ আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা শিক্ষাখাত তথা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে।”
সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর মেধাবিকাশ, শিখন দক্ষতা অর্জন ও পরীক্ষার প্রস্তুতির প্রধান মাধ্যম হিসেবে গাইড বইয়ের বিকল্পে অনুশীলনমূলক বই ‘অপরিহার্য’ বলে দাবি করেন তিনি।
শিক্ষা আইন চূড়ান্ত করার আগে ওই সংশোধন নিশ্চিতের দাবিতে আগামী সোমবার সব জেলায় বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে একযোগে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন এবং জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি দিয়েছে পুস্তক ব্যবসায়ীরা। এরপরেও দাবি পূরণ না হলে ক্রমান্বয়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আরিফ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার, সহ-সভাপতি শ্যামল পাল, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ওসমান গণি, বাংলাদেশ ওয়েব প্রিন্টার্স এসোসিয়েশন বিপণন সমিতির সভাপতি মো. রাব্বানি জব্বার, বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ আরও অনেকে।