রাষ্ট্রপতির কাছে দুই দূতের পরিচয়পত্র পেশ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান এবং অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি ক্রিস্টোফার কার্টেনি ব্রুয়ের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 02:54 PM
Updated : 20 Feb 2020, 02:54 PM

বৃহস্পতিবার দুই দূত বঙ্গভবনে গিয়ে পরিচয়পত্র দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নতুন দূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নতুন দূতদের কর্মকালে বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্ক ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।

তুরস্কের দূতের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও প্রাচীন। দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বিষয়ে অভিন্নতা রয়েছে।

দুই দেশের বিদ্যমান সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।

রোহিঙ্গা সঙ্কটে বাংলাদেশকে সমর্থন দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি এ সময় তুরস্ক সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি নতুন দূতকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

অস্ট্রেলিয়ার নতুন হাই কমিশনার জেরেমি ক্রিস্টোফার কার্টেনি ব্রুয়ের বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন।

তুরস্কের নতুন রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।

অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশটি বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার।

বিভিন্ন খাতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য তিনি অস্ট্রেলিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে কোটা ও শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার জন্যও দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে অস্ট্রেলিয়া ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি হামিদ।

হাই কমিশনার বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।

এর আগে দুই দূত বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি দল তাদের গার্ড অব অনার দেয়।