শহীদ মিনার এলাকাকে ৫ সেক্টরে ভাগ করে র‌্যাবের নিরাপত্তা

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে র‌্যাবের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Feb 2020, 10:13 AM
Updated : 20 Feb 2020, 10:13 AM

এছাড়া ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাকে পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে এসে র‌্যাবের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, “তিনটি ধাপে আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিপালিত করব। একটি হচ্ছে ভাষা শহীদ দিবসের পূর্বের ব্যবস্থাপনা, যেটি ইতোমধ্যে আমরা বলবৎ করেছি। আজকে সন্ধ্যা থেকে আমরা মূলত মূল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ করব, যেটা আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত থাকবে। এরপরেও আমরা এই এলাকায় শহীদ দিবস পরবর্তী নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদিনের জন্য অবজারভ করব।’’

নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ঘিরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকাটি ৫টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছে জানিয়েছে বেনজির আহমেদ বলেন, “এই ৫টি সেক্টরকে কেন্দ্র করে এখানে পপর্যাপ্ত  অবজারভেশন পোস্ট স্থাপন করা হবে, আমাদের এখানে চেক পোস্ট, ফুট পেট্রোল, গাড়িতে করে পেট্রোল, মোটর সাইকেল পেট্রোল থাকবে, সাদা পোশাকে আমাদের গোয়েন্দারা এখানে কাজ করবেন।

“তাছাড়া বিভিন্ন স্পেশালাইজড ইকুইপমেন্ট আমরা এখানে মোতায়েন করব নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য। আমাদের ডগ স্কোয়াড থাকবে, বোম্ব স্কোয়াড থাকবে, যেকোন আপৎকালীন অবস্থা মোকাবেলার জন্য আমাদের স্পেশাল রিজার্ভও মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই থাকবে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য।”

আজিমপুর কবরস্থানকে ঘিরেও র‌্যাবের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, “যেখানে যেখানে র‌্যাবের উপস্থিতি আছে সেসমস্ত এলাকাতেও, বিশেষ করে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর এবং জেলা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, যাতে সারাদেশের মানুষ যথাযথ নিরাপত্তায় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পারে।”

তিনি জানান, শহীদ দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে র‌্যাবের নিজস্ব গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাষ্ট্রীয় প্রধান গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে র‌্যাবের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে।

“যেকোনো হুমকি আবির্ভূত হলে বা যেগুলো রয়েছে সেগুলোকে বিবেচনায় রেখেই আমরা নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করেছি এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময় সেটাকে আমরা হালনাগাদ করব।”