বাংলাদেশের বন্দরের সুবিধা নিতে নেপালের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

বাংলাদেশের বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে সুবিধা নিতে নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2020, 04:57 PM
Updated : 19 Feb 2020, 04:57 PM

বাংলাদেশ সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গেওয়ালী বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে।

“নেপাল ও ভুটান সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে পারস্পরিক সুবধার স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।”

এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং বিবিআইএন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বদা নেপালকে ট্রানজিট দেওয়ার পক্ষে ছিলেন।

বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করছে। বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে সবজি ও মাছও রপ্তানি করতে পারে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন তিনি।

বৈঠকে প্রদীপ কুমার গেওয়ালী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রা দিতে চায়।

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দ্রুত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, নেপালও উন্নতি করছে। এ বছর তারা ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপাল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশাফি বিনতে শামস এবং বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত বংশীধর মিশ্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।