সব কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করতে দুই মাস সময়

গার্মেন্টসহ দেশের সকল কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং বা বেবি কেয়ার কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Feb 2020, 09:42 AM
Updated : 18 Feb 2020, 10:10 AM

শ্রম সচিব ও শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এক রিট মামলায় সম্পূরক এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সরকার পরিচালিত-নিয়ন্ত্রিত বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের মত জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে গতবছর একটি রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।

“রুল জারির পর সম্প্রতি রেলওয়ে স্টেশন, বাস স্টেশন, বিমানবন্দরে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের কাজ চলছে। কিন্তু গার্মেন্টসহ দেশের কলকারখানাগুলোতে এ ব্যপারে তেমন কোনো অগ্রগতি আমরা দেখছি না। অথচ গার্মেন্ট সেক্টরে কাজ করা নারী কর্মীদের অধিকাংশের বয়স ১৭ থেকে ৩১ বছর। তাদের বেশির ভাগেরই শিশু সন্তান রয়েছে।

“তাছাড়া গার্মন্টস, কলকারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বা বেবি কেয়ার স্থাপনের বিষয়ে নীতিমালাও রয়েছে, আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। এ নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারপরও কাজ হচ্ছে না। ফলে সম্পূরক আবেদন করে নির্দশনা চেয়েছিলাম।”

সেই আবেদনের শুনানি করে হাই কোর্ট গার্মেন্টসহ দেশের সব কল-কারখানায় দুই মাসের মধ্যে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার করার নির্দেশ দিয়েছে বলে ইশরাত হাসান জানান।

নয় মাস বয়সী এক শিশু ও তার মায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছর ২৭ অক্টোবর ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন প্রশ্নে ওই রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস ও রেলওয়ে স্টেশনের মতো জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে বিবাদিদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শপিংমলে ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে একটি প্রস্তাব তৈরি করতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিবকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছিল আদালত।

এর চার মাসের মাথায় বাংলাদেশ শ্রম আইনের (২০০৬) শিশু কক্ষ সংক্রান্ত ৯৪ (৭) ধারা উল্লেখ করে মঙ্গলবার সম্পূরক আবেদনটি করা হয়।

ওই ধারায় বলা হয়েছে, “উক্তরূপ কোনো কক্ষ যথেষ্ট আসবাবপত্র দ্বারা সজ্জিত থাকিবে এবং বিশেষ করিয়া প্রত্যেক শিশুর জন্য বিছানাসহ একটি খাট বা দোলনা থাকিবে, এবং প্রত্যেক মা যখন শিশুকে দুধ পান করাইবেন বা পরিচর্যা করিবেন, তখন তাহার ব্যবহারের জন্য অন্তত একটি চেয়ার বা এই প্রকারের কোনো আসন থাকিতে হইবে এবং তুলনামূলকভাবে বয়স্ক শিশুদের জন্য যথেষ্ট ও উপযুক্ত খেলনার সরবরাহ থাকিতে হইবে৷”