জনশুমারি প্রকল্পে অনিয়ম যেন না হয়: পরিকল্পনামন্ত্রী

আগামী বছরে বাস্তবায়নের অপেক্ষায় থাকা জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্পের ক্রয় কাজে অনিয়মের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সাবধান করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2020, 06:57 PM
Updated : 17 Feb 2020, 06:57 PM

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে সোমবার ওই  প্রকল্প নিয়ে ঢাকা বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, “জনশুমারী ও গৃহগণনা প্রকল্পের ক্রয় কাজে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কোনো বিষয়ে যেন প্রশ্নের সম্মুখীন না হই।

“অতীতে আমাদের জনশুমারি থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তাই নিখুতভাবে কাজ করে গুণগত মান বাড়িয়ে আমরা এবার বিশ্বমানে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব।”

এবার মাঠকর্মীদের টাকার পরিমাণ চারগুণ বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “মাঠকর্মীদের টাকা ত্বড়িত পরিশোধ করতে হবে।“

গত ২৯ অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এক হাজার ৭৬১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এই প্রকল্পটির গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণে নিখুঁত পরিকল্পনার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজনেই নিখুঁত শুমারি করতে হবে। আমার বিশ্বাস এবার চমৎকার একটা শুমারি হবে। চমৎকার ফলও পাব।”

সভায় পরিসংখ্যান বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী বলেন, বিদেশে কতজন বাংলাদেশি আছে, দেশে কতজন বিদেশি আছে, সবই গণনা করা হবে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার বলেন, “খানা তালিকা প্রস্তুতের জন্য প্রথম বারের মতো এ শুমারিতে মূল শুমারিতে মূল শুমারির পূর্বে লিস্টিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে এবং প্রতিটি খানার জন্য একটা ইউনিক হাউজহোল্ড আইডি দেওয়া হবে।”

দেশব্যাপী শুমারির মূল গণনা কার্যক্রম আগামী বছরের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত সাতদিন পরিচালিত হবে। একইসঙ্গে জনশুমারিতে স্মরণ করা হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

এবার সাতদিনে চার কোটি খানায় (পরিবার) তথ্য সংগ্রহ করা হবে। একজন গণনাকারী ১০০টি থানার তথ্য সংগ্রহ করবেন।

প্রথমবারের মতো মাল্টিমোড পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। মাল্টিমোডের মধ্যে রয়েছে, মোবাইল অ্যাপ, ওয়েব অ্যাপ, ড্রপ অ্যান্ড পিক, পেপার বেইজড, কল সেন্টার ইত্যাদি। এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো সীমিত আকারে ই-সেন্সাস পরিচালনা করা হবে। ই-সেন্সাসে যারা তথ্য দিতে আগ্রহী তারা হাউজ হোল্ডের আইডি দিয়ে তথ্য দিতে হবে। তবে কেউ যদি ই-সেন্সাসে জনশুমারির তথ্য দিতে না চায় তাহলে বিবিএস’র কর্মীরা প্রশ্নপত্র নিয়ে ফরম পূরণ করে আনবে।