এখন কাউকে না ফেরানোর পরামর্শ চীনা দূতের

সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশে আটকে পড়া ১৭১ জন বাংলাদেশিকে এখনই না ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2020, 02:20 PM
Updated : 17 Feb 2020, 02:23 PM

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় তিনি বলেছেন, “আমি পরামর্শ দেব যেন তাদেরকে ফিরিয়ে আনা না হয়। কারণ তাতে এই দেশের জন্য ঝুঁকি রয়েছে।”

ঝুঁকির বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জাপানে ট্যাক্সি চালকের সংস্পর্শে এসে বেশ কয়েকজনের আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত।

তিনি বলেন, “যদি তারা ইচাং থেকে বাসে করে আসে বা অন্যভাবে, তাহলে তারা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। এ কারণে তাদেরকে সেখান থেকে না আনার পরামর্শ দিচ্ছি।“

নভেল করোনাভাইরাসে চীনে ১ হাজার ৭৭৫ জন মানুষের মৃত্যু এবং ৭০ হাজারের বেশি আক্রান্ত হওয়ায় সে দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে উদগ্রীব।

এ ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকায় গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ চীনের উহান থেকে ৩১২ জনকে ফিরিয়ে আনে।

এর মধ্যে উহানের পাশের শহর ইচাংয়ে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দেশে ফিরে আসার আকুতি জানালে উহানফেরত ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে সমস্যা হওয়ার কথা জানায় সরকার।

তবে চীনা দূত জিমিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, হুবেই প্রদেশে আটকে পড়া ১৭১ জন বাংলাদেশিকে ফেরানোর কাজ চলছে।

কবে নাগাদ তারা ফিরতে পারে সেই প্রশ্নে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিষয়টি নির্ভর করবে চীনের অনুমোদনের ওপর।

তার একদিনের মাথায় কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে চীনা দূত লি জিমিংকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ফেরানোর প্রস্তুতি নিলে চীনের অনুমতি পাওয়া যাবে।

”হুবেই থেকে এখন কোনো বিমান নেই। বাংলাদেশের বিমান গেলে সেটির পাইলট ও ক্রুরা অন্য দেশে ঢুকতে পারে না। এটা বড় ধরনের জটিলতা। আমরা বিকল্প খুঁজছি। অনুমতি কোনো সমস্যা না, সমস্যা হল কারিগরি বিষয়গুলো।”