এ মামলায় হাই কোর্টের দেওয়া চার সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে সোমবার তিনি নিয়ম অনুযায়ী নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ঢাকার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. কায়সারুল ইসলাম দুই হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে মতিউর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী, আমিনুল গনি টিটো, প্রশান্ত কুমার কর্মকার। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ওমর ফারুক আসিফ।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২০ জানুয়ারি মতিউর রহমানকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেয়। এরপর তাকে হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।
বাকি চারজন হলেন- কিশোর আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মহিতুল আলম, প্রথম আলোর হেড অব ইভেন্ট অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন কবির বকুল, নির্বাহী শাহ পরাণ তুষার ও নির্বাহী শুভাশীষ প্রামাণিক।
মোহাম্মদপুরে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে গত ১ নভেম্বর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নবম শ্রেণির ছাত্র আবরার রাহাত। মহাখালীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল প্রথম আলোর কিশোর সাময়িকী কিশোর আলো। প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান কিশোর আলোরও প্রকাশক; আর কিশোর আলোর সম্পাদক হলেন আনিসুল হক।
আবরারের বাবা মো. মুজিবুর রহমান গত ৬ নভেম্বর প্রথম আলো সম্পাদকসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা করেন। সেখানে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলিম। সেখানে মোট দশজনকে আসামি করে বলা হয়, নাইমুল আবরারের মৃত্যুর পেছনে কিশোর আলো কর্তৃপক্ষের ‘অবহেলার প্রমাণ’ পাওয়া গেছে।
ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের অন্যতম বিচারক কায়সারুল ইসলাম সেদিনই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।