সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকার একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাসেল শিকদার জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, তিনতলা ওই ভবনের নিচতলায় গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালাতে গেলে পুরো ঘরে আগুন জ্বলে ওঠে। তাতে বাসায় থাকা আটজন দগ্ধ হন।
আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও দুজনকে বের করে আনেন। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- নূরজাহান বেগম (৭৫), তার ছেলে কীরণ (৫০), কীরণের ছেলে আবুল হোসেন ইমন (২২) ও আপন (১০), কীরণের ছোট ভাই হীরণ (২৮) ও তার স্ত্রী মুক্তা (২১) তাদের মেয়ে ইলমা (৩), ভাগ্নে কাওছার (১৬)।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ি পুলিশের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আট জনের মধ্যে চার জনের অবস্থা গুরুতর। ওই চারজনের শরীরের ৬০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে।
সাহেবপাড়ার ওই বাড়ির মালিক ফারুক হোসেন নামের এক ব্যক্তি। নিচতলার ভাড়াটে কীরণ মিয়া গার্মেন্ট এক্সেসরিজের ব্যবসা করেন। আগুনে তার বাসার সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কেবল কীরণের স্ত্রী লিপি অক্ষত রয়েছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় দিনের বেলায় গ্যাস থাকে না। সে কারণে অনেকের বাসাতেই ইদানিং সমস্যা হচ্ছে, অসাবধানতায় খোলা থাকছে গ্যাসের চুলার চাবি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আরেফিন বলেন, সকালে পরীক্ষা করে ওই বাসার চুলায় গ্যাসের চাপ কম পাওয়া গেছে।
“তারা সিলিন্ডারও ব্যবহার করতেন। পাইপলাইনের চুলায় চাবি অন করা ছিল। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় পুরো ঘরে গ্যাস জমে যায়। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণে ঘরের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিভিয়েছে।”