রোববার দুপুরে সবুজবাগের কদমতলা এলাকার একটি ভবনের ছয়তলার ওই ফ্ল্যাট থেকে জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, চারটি প্রিন্টারসহ বেশ কিছু সরঞ্জামও উদ্ধার করা হয়েছে বলে গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার মশিউর রহমান জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. বশির উদ্দিন (৫১), মো. মনিরুজ্জামান (৩৫), মো. মনির হোসেন (৩২), মো. আব্দুল কাদের ওরফে আল আমিন (৬২), মো. এনামুল হক আশারী (৩২), মো. আকবর আলী (৩০), মো. কবির হোসেন (৩৫) ও মো. সোহেল মাহমুদ (২৮)।
এদের মধ্যে এনামুল হক আশারী ভারতীয় নাগরিক।
উপকমিশনার মশিউর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এই কারবারে জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে চেষ্টা চলছিল।
“গ্রেপ্তারের পর তারা জানিয়েছে, প্রতি মাসে বাজারে আনুমানিক এক কোটি ভারতীয় রুপির জাল নোট ভারতে পাচারের পরিকল্পনা নিয়ে তারা মাঠে নেমেছিল।
“এদের মধ্যে মনির হোসেন ঢাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া করে জাল রুপি তৈরির কাজ করে আসছিল। অন্যদের একেকজনের একেক রকম দায়িত্ব ছিল। তৈরির পরপরই বশির প্রতি লাখ জাল রুপি ২১ হাজার টাকায় কিনে ভারতীয় নাগরিক মোহনা, গ্রেপ্তার একরামুল ও হব্বুর কাছে প্রতি লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করত। এরপরই তারা ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে তুলে দিত।”