রোববার সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “যে সংসদ সদস্যের কথা বললেন, আমরা শুনেছি যে এটা ফেইক নিউজ।”
সম্প্রতি কুয়েত সিআইডির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মানব পাচার নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কুয়েতি পত্রিকা আল কাবাস ও আরব টাইমস।
আল কাবাসের খবরে বলা হয়, কুয়েতে মানবপাচার ও ‘ভিসা বাণিজ্যে’ জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বাংলাদেশির একটি চক্রের সন্ধান পাওয়ার পর একজনকে গ্রেপ্তার করেছে সেখানকার সিআইডি। বাকি দুজন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন; তাদের মধ্যে একজন আবার সংসদ সদস্য।
কুয়েতি গণমাধ্যম ওই সাংসদের নাম উল্লেখ না করলেও বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় লক্ষ্মীপুরের একজন এমপির নাম এসেছে, যিনি কুয়েতে জনশক্তি রপ্তানি এবং দেশে আর্থিক খাতের ব্যবসায় যুক্ত। তার স্ত্রী নিজেও সংরক্ষিত আসনের একজন এমপি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সরকারের কাছে এই মুহূর্তে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। আমাদের মিশন এখনো খবর দেয়নি, আমরা এখনো জানি না।
“তবে এটা বোধহয় কোনো একটা পত্রিকাতে বের হয়েছিল এবং পরবর্তীতে ওই পত্রিকাই বোধহয় বলেছে যে, এটার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে।”
গত বুধবারআরব টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য নিয়মিত কুয়েতে আসা-যাওয়া করলেও সেখান ৪৮ ঘণ্টার বেশি থাকেন না। কুয়েতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
আল কাবাস থেকে উদ্ধৃত করে আরব টাইমস পরে আরেক প্রতিবেদনে লিখেছে, কুয়েত সরকারের কাজ পেতে কর্মকর্তাদের পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ি ঘুষ হিসেবে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওই এমপি। তিনি তার সম্পদের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে সরিয়ে নিয়ে এক মার্কিন নাগরিকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা শুরু করেছেন।