বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখতের সই করা এক চিঠিতে এ সুপারিশ করা হয়।
নদী দখল নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নজরে নিয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, “নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক সভ্যতা আজ সত্যিই হুমকির মুখোমুখি। প্রাকৃতিক, আন্তর্জাতিক এবং কতিপয় সর্বগ্রাসী নদী দখলদারের কারণেই দেশের নদীসমূহ আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে।“
ন্যাশনাল রিভার কনজারভেশন কমিশনের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, দেশের ৬৪টি জেলার ১৩৯টি নদী ব্যাপকভাবে দখল করা হয়েছে। কেবল ঢাকার বাইরে ৪৯ হাজার ১৬২ জন নদী দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ এবং আত্মসাতের সহযোগিতা দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, কমিশন ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি খাস জমি দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।কমিশনের প্রতিরোধমূলক বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরকারি সম্পত্তি স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় দখলমুক্ত করা হচ্ছে।
প্রতিটি জেলা প্রশাসকদের তাদের অধিক্ষেত্রে দখল হওয়া নদী উচ্ছেদের মাধ্যমে নদীগুলোকে দখলমুক্ত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দিতে সুপারিশ করেছে দুদক।
চিঠিতে বলা হয়, "নদী দখলমুক্ত করে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমের মাসিক প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সংরক্ষণ করতে পারে এবং প্রয়োজনে প্রতিবেদনের অনুলিপি দুদকে প্রেরণ করতে পারে।"
সরকারি সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকরা দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে প্রত্যাশা দুদকের।