কোম্পানি সিলের নিবন্ধন লাগবে না, বিল উত্থাপন

কোম্পানির নিবন্ধনের সময় সিলের নিবন্ধন করানোর বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়ে কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে উঠেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 06:39 PM
Updated : 12 Feb 2020, 06:39 PM

বুধবার কোম্পানি (সংশোধন) বিল - ২০২০ সংসদে উত্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনে কোম্পানি নিবন্ধনের সময় সিলেরও নিবন্ধন নেওয়ার বিধান ছিল।

বিদ্যমান আইনের সিল সংক্রান্ত ধারাগুলোর পরিবর্তন করতে বিলটি আনা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি আইনমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় কোম্পানি সিল সংক্রান্ত ধারার সংশোধন প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য মত প্রকাশ করা হয়।

মন্ত্রী আরও বলেন, “আইনটি পর্যালোচনা দেখা যায় কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের জন্য কোম্পানি সিলের প্রয়োজনীয়তা নাই। তবে কোম্পানির নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনায় কোম্পানি সিল ব্যবহার করা যায়।”

বাতিঘর বিল পাস

পরে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ‘বাংলাদেশ বাতিঘর বিল-২০২০’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করা হয়।

১৯২৭ সালের দ্য লাইট হাউজ অ্যাক্ট বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস করা হল। 

বিলে বলা হয়েছে, বাতিঘর মাসুল পরিশোধ না করে কোনো জাহাজ নৌপথে চলাচল করলে তা আটকে রাখা হবে।

বিলে বলা হয়েছে, কোন বিদেশি রাষ্ট্রের মালিকানাধীন অথবা নৌবাহিনী অথবা কোস্ট গার্ডের জাহাজ যা কোনো ভাড়া আদায়ের উদ্দেশ্যে মালামাল অথবা যাত্রী পরিবহণ করে না এমন জাহাজের ক্ষেত্রে বাতিলঘর মাশুলের আওতার বাইরে থাকবে।

এছাড়া ১০ টনের নিচে এবং সরকার ঘোষিত যে কোন শ্রেণির জাহাজ বাতিলঘর মাশুলের আওতার বাইরে থাকবে।

কোনো জাহাজ অতিরিক্ত মাশুল দিলে ৬ মাসের মধ্যে আবেদন করতে তা ফেরত পাবে বলে বিধান রাখা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ৩টি বাতিঘর বিদ্যমান এবং আরও ৪টি বাতিঘর স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।বাতিরঘরগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যমান আইনটি আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে বিলটি তোলা হয়েছে।”

বিলটি নিয়ে আলোচনার সময় চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং নিয়ে অভিযোগ করেন জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ।

পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে অপারেটর নিয়োগে তোড়জোড় হচ্ছে। নৌপ্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে প্রতিকার চান ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে কন্টেইনারবাহী জাহাজের জট বাড়ছেই। মাত্র একটি অপারেটর দিয়ে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অপারেটর সংখ্যা না বাড়িয়ে একই প্রতিষ্ঠানকে বারবার কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এটা একটা মনোপলি বিজনেস শুরু হয়েছে।

“প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভায় বলেছিলেন, সবাই যেন স্বচ্ছন্দে টেন্ডারে অংশ নিতে পারে।  টেন্ডারটাই এমনভাবে করা হয়, যাতে কেউ অংশ নিতে না পারে।”

ফিরোজ বলেন, “২০০৭ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষ সাইফ পাওয়ারটেককে কোনো টেন্ডার ছাড়াই কাজ দিয়েছিল। এখন পর্যন্ত সে প্রতিষ্ঠান এককভাবে কাজ করছে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ দরপত্র আহ্বান করে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে যাতে সাইফ ছাড়া আর কেউ অংশ নিতে না পারে। বাতিঘর যতই করেন এই যে কন্টেইনার জট সরবে না, যদি এই কোম্পানিকে না সরান। একটা কোম্পানির জায়গায় আরও কোম্পানি আনতে হবে।”

জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “সবক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর।”