বাসন্তি রঙ নিয়ে সংসদে সরস আলোচনা

ফাগুনের ঠিক আগে বাসন্তি রঙ নিয়ে সংসদে হয়ে গেল সরস আলোচনা।

সাজিদুল হক সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 04:20 PM
Updated : 12 Feb 2020, 04:20 PM

এই আলোচনায় যোগ দিয়ে সরস টিপ্পনীও কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর শাড়ির রঙ নিয়ে এই বিষয়টি উঠলেও তা গড়ায় আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতেও।

প্রশ্নোত্তরপর্বে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু সম্পূরক প্রশ্ন করতে উঠে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, “মাননীয় সংসদ নেত্রীকে দেখে আজকে মনে হল যে বসন্ত খুব শিগগিরই।“

বসন্ত শুরুর দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বুধবার বর্ণিল একটি শাড়ি পরে সংসদে এসেছিলেন। ওই শাড়িতে হলুদ রঙের ছাপও ছিল। 

প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, “আমার মনে হয় মাননীয় সংসদ সদস্যের জানা উচিৎ বসন্তের রঙ কিন্তু বাসন্তি। আমি কিন্তু বাসন্তি রঙ পরিনি। এখানে অনেক রঙ আছে, কালোও আছে।

“আমার মনে হচ্ছে মাননীয় সংসদ সদস্য কালার ব্লাইন্ড, এটা বাংলা করলে হয় রঙকানা। জানি না আজকে বাড়িতে গিয়ে ওনার কপালে কী আছে!”

এসময় সংসদ কক্ষে মৃদু হাসির রোল পড়ে।

আইন প্রণয়ন কার্যাবলীতে বাতিঘর বিল নিয়ে আলোচনার সময় জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম সংশোধনী প্রস্তাব দিতে গিয়ে বলেন, “মাননীয় স্পিকার আমার বন্ধু (চুন্নু) শুধু কালার ব্লাইন্ডই নন, প্রতিবন্ধীও । এদিক-ওদিক ঘাড় ঘেরাতে পারে না।

“অতদূরে বাসন্তি রঙ দেখল। মাননীয় স্পিকার আপনার শাড়ির রঙও দেখলো না, সামনেই আমাদের নেত্রী মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী (রওশন এরশাদ) আছেন, তিনিও বাসন্তি রঙের শাড়ি পড়েছেন। সেগুলো দেখল না।”

এর আগে ফখরুল ইমাম প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছিলেন, “এত কাছ থেকে বাতিঘর দেখিনি। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বাতিঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী।”

পরে বিএনপির হারুনুর রশীদ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বলেন, “মাননীয় সদস্য ফখরুল ইমাম যেভাবে বললেন…  আমরা কিভাবে উত্থাপিত করব? তিনি যে সংসদের আলো বা বাতিঘর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।“

এই সরস আলোচনার মধ্যে বিএনপির রুমিন ফারহানা তার প্রস্তাব উত্থাপন করতে গিয়ে বলেন, “সংসদের পরিবেশ খুব সুন্দর। আমি কথা বললে কতটুকু সুন্দর থাকবে, জানি না। আমি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিচ্ছি।”