মেট্রোরেল ২০২১ সালেই উদ্বোধন: কাদের

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরই ঢাকাবাসীকে মেট্রোরেলে চড়ানোর আশা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 02:50 PM
Updated : 12 Feb 2020, 03:57 PM

বুধবার সংসদে তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় বিশেষ উদ্যোগে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর ৬ মাস আগে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ, ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর  আনুষ্ঠানিকভাবে (ঢাকার মেট্রোরেল) উদ্বোধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।”

ঢাকায় বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে।

কাদের জানান, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সার্বিক গড় অগ্রগতি ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের পূর্তকাজের অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৯৭ শতাংশ। আগারগাঁও হতে মতিঝিল অংশের পূর্ত কাজের অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

“ইলেকট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল সিস্টেম এবং রোলিং স্টক (রেলকোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ কাজের সমন্বিত অগ্রগতি ২৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।”

এখন মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত (১.১৬ কিলোমিটার) করতে ‘সোশাল সার্ভে’ চলছে বলে জানান তিনি।

সংসদে ওবায়দুল কাদের জানান, বর্তমানে বিআরটিসির বহরে মোট ১ হাজার ৮৩০টি বাস রয়েছে। এ মুহুর্তে দেশে চলাচলকারী বিআরটিসির বাসের সংখ্যা এক হাজার ৩৩৪টি। ঢাকা শহরে বর্তমানে ৩১৭টি বাস চলাচল করে। এর মধ্যে আগের ছিল ২১৭টি।

বর্তমানে ভারতীয় ঋণের টাকায় কেনার জন্য পরিকল্পিত ৬০০ বাসের মধ্যে ১০০টি বাস আগের বহরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাত্রী সেবা দিচ্ছে বলে জানান কাদের।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র/ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিআরটিসির ৫২টি বাস অনুদান হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছেন বল সংসদে জানান মন্ত্রী।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সংসদে জানান, পাট দিয়ে পলিথিনের প্রসারে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পে দৈনিক এক লাখ সোনালী ব্যাগ উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয় ও স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পরেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সোনালী ব্যাগ উৎপাদন শুরু হবে।

চলতি অর্থ বছরে দেশে পাট উৎপাদনের পরিমাণ ৮৪ লাখ ৫৫ হাজার বেল জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সরাসরি পাট রপ্তানি করা হয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, নেপাল, আইভরিকোস্ট, যুক্তরাজ্য, জিবুতি, ব্রাজিল, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তিউনিশিয়া, রাশিয়া, ইথিওপিয়া ও বেলজিয়ামে।

পাটমন্ত্রী জানান, বিজিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন মিলগুলোতে মজুদ করা পাটপণ্য বিক্রি হলে সরকারি মিলে দেওয়া ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ীদের ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালের বকেয়া টাকা ২০২০ সালের জুনের মধ্যে দেওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশে এখন সরকারি পাটকলের সংখ্যা ২৩টি জানিয়ে দস্তগীর গাজী বলেন, এরমধ্যে একটি পাটকল মামলাজনিত কারণে বন্ধ আছে। হস্তান্তর চুক্তির শর্ত ভঙ্গের কারণে সরকার ৬টি পাটকল পুনঃগ্রহণ করেছে। এই ৬টির মধ্যে আবার ৫টির বিষয়ে আদালতের স্থিতাবস্থা রয়েছে।

অন্যটি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। অন্য কোনো পাটকল বন্ধ না থাকায় নতুন করে পাটকল চালুর পরিকল্পনা সরকারের নেই।