ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট

ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Feb 2020, 01:53 PM
Updated : 12 Feb 2020, 01:53 PM

বিআরটিএ চেয়ারম্যান ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে আগামী রোববার এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএ এবং পুলিশের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া গাড়ির নিবন্ধন ও ফিটনেস সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আদালতে বিআরটিএ’র পক্ষে শুনানি করেন রাফিউল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

পুলিশ প্রধানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিটনেসবিহীন যানবাহনে তেল না দিতে গত বছর ২৩ অক্টোবর হাই কোর্টের নির্দেশের পর বিভিন্ন পাম্প কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে, যাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে তেল দেওয়া না হয়। আদালতের আদেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

আর বিআরটিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর ২৩ অক্টোবর হাই কোর্টের আদেশের সময় সারাদেশে ৪ লাখ

৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি ছিল যেগুলোর নিবন্ধন ছিল, কিন্তু ফিটনেস নবায়ন করা হয়নি। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এর মধ্যে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৬৪ গাড়ির ফিটনেস নবায়ন করা হয়েছে। আর নতুন করে নিবন্ধন নেওয়ার পর ১৯ হাজার ৩টি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

এর আগে গত বছর ২৩ জুলাই এক আদেশে নিবন্ধন নিয়ে ফিটনেস নবায়ন করেনি এমন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি গাড়িকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিল।

এরপর ২৩ অক্টোবর আরেক আদেশে আদালত বলেছিল, ফিটনেসবিহীন গাড়িতে তেল-গ্যাস-পেট্রোলসহ সব ধরনের জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখতে হবে।

ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারে প্রকাশিত ‘নো ফিটনেস ডকস, ইয়েট রানিং’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন নজরে এলে গতবছর ২৭ মার্চ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেয়।

ঢাকাসহ সারাদেশে ফিটনেস-নিবন্ধনহীন যানবাহন ও লাইসেন্সহীন চালকের প্রতিবেদন চেয়ে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীকে ২৪ জুন আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

সেই সঙ্গে ফিটনেস, নিবন্ধনহীন যানবাহন চলাচল ও লাইসেন্স ছাড়া যানবাহন চলাচল বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তির বাঁচার অধিকার রক্ষায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩ -এর বিধান বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ প্রধান, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, ঢাকা ট্র্যাফিক পুলিশের (উত্তর ও দক্ষিণ) ডিসি, বিআরটিএ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।