গ্রেপ্তাররা হলেন- গোলাম মোস্তফা ওরফে সুমন (৩৮), ইলিয়াস কবির ওরফে জনি (২৭), সাব্বির (২৯) ও মেহেদী হাসান নয়ন (২৫)।
বংশাল থানার ওসি শাহিন ফকির বলেন, বুধবার সকাল ৮টার দিকে কোতোয়ালী, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বন্ডেড ওয়ারহাউস সুবিধায় (শুল্ক-কর পরিশোধ ছাড়াই) আনা পণ্য অবৈধভাবে খোলাবাজারে বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে পুরান ঢাকার নয়াবাজারে হামলার শিকার হন ওই টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন শেখ জালাল।
অতর্কিত হামলা করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের ব্যবহৃত গাড়িটি ভাংচুর করে।
প্রতিবেদক ফখরুল ইসলাম অজ্ঞাত পরিচয় ৭০/৮০ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেনে জানিয়ে ওসি শাহিন বলেন, “গ্রেপ্তারদের ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
গ্রেপ্তারের পর তাদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে একটি ক্যামেরা উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছেও বলেও জানান।
তিনজন রিমান্ডে, একজনের স্বীকারোক্তি
পরে আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমান রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে পাঠানো তিন আসামি হলেন- গোলাম মোস্তফা ওরফে সুমন, ইলিয়াস কবির ওরফে জনি এবং সাব্বির।
এছাড়া অপর আসামি মেহেদী হাসান নয়ন হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তার জবানবন্দি নেন বলে জানান সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই হেলাল উদ্দিন।
মেহেদী হাসানের বাবার নাম মাহবুব রহমান। তার বাসা ঢাকার কোতয়ালীর ১৪/৭ জিন্দা বাহারের দ্বিতীয় লেনে।