গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণে বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে পৌনে দুই লাখ ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন নৌকার প্রার্থী তাপস।
তবে দায়িত্ব পেতে তাকে মধ্য মে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে থাকতে হবে। সে পর্যন্ত বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন দায়িত্ব পালন করবেন।
গত বছর বর্ষ মৌসুমের শুরুতেই ঢাকায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, সরকারি হিসাবেই প্রাণ হারান দেড় শতাধিক মানুষ।
সে সময় মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ঢাকার দুই মেয়রকে।
ঢাকার বাসিন্দাদের মৌলিক নাগরিক সেবা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করে মেয়র নির্বাচিত হওয়া তাপস তাই আগেভাগেই মশা দমনের প্রস্তুতি চাইছেন।
ফজলে নূর তাপস বলেন, “জুন-জুলাইয়ে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। আমার দায়িত্ব নিতে যেহেতু একটু দেরি হচ্ছে, এখন যিনি আছেন, আমি উনাকে অনুরোধ করব নগরবাসীর ভোগান্তি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে মশক নিধনের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখার জন্য।”
মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর উন্নত ও আধুনিক ঢাকা গড়তে ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর পূর্ণ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন বলে জানান তাপস।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আরও বেশি হবে বলে আশা করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ায় আমি সন্তষ্ট। উপস্থিতি কম হলেও সারা বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য, নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।”
এ সময় ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।