রংপুর মেডিকেলে ভর্তি চীনফেরতের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নেই: আইইডিসিআর

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি সদ্য চীনফেরত বাংলাদেশি যুবকের শরীরে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ নেই বলে জানিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট (আইইডিসিআর)।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Feb 2020, 10:26 AM
Updated : 9 Feb 2020, 10:51 AM

রাজধানী মহাখালীর কার্যালয়ে রোববার আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় ওই লোকের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। তার জ্বর কাশি কিছুই ছিল না। এক ধরনের শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

“সে কারণে তাকে আমরা পর্যবেক্ষণে নিয়ে এবং তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তার অবস্থা এখন ভালো।”

গত ২৯ জানুয়ারি রাতে তিনি চীন থেকে ফেরা নীলফামারীর ডোমারের ওই বাসিন্দা গত শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে নীলফামারীর ডোমার উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠিয়ে দেন।

রংপুর মেডিকেলের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল মোকাদ্দেম জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে ২৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে ‘আইসোলেশনে’ রাখা হয়েছে। তার গায়ে জ্বর নেই। তবে গলা ও বুকে ব্যথা রয়েছে।

চীনফেরত ওই রোগীকে নিয়ে খবর প্রচারে গণমাধ্যমকর্মীদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আইইডিসিআরের পরিচালক বলেন, “সন্দেহজনক কেউ পরীক্ষাধীন আছেন এমন ব্যক্তির গোপনীয়তা বজায় রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এটা করতে না পারলে এ ধরনের ব্যক্তি সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে পারেন।”

চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে ৮১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।এর মধ্যে দুজন ছাড়া বাকিরা সবার মৃত্যু হয়েছে চীনেই। হংকং ও ফিলিপিন্সে মারা গেছেন দুই চীনা নাগরিক।

নভেল করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা সার্সের প্রাদুর্ভাবকেও ছাড়িয়ে গেছে। ২০০২-০৩ সালে এই রোগে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

রোববার সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৪ হাজার ৩৮৯ জনকে স্ক্রিনিং করে তাদের মধ্যে ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এখনও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর।

কারও শরীরে এ ভাইরাস পাওয়া গেলে সেটা গণমাধ্যমকে জানানো হবে কি না- জানতে চাইলে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, তারা বিষয়টি আগে নিশ্চিত হবেন।

“এটা জানানোর একটা প্রক্রিয়া আছে। এটা হলে আমাদের তা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার কাছে জানাতে হবে। এটা যেহেতু একটা পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সি। এ কারণে কিছু পদ্ধতি মেনে আমাদের সেটা জানাতে হবে।

“বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে কথা বলেই আমরা নির্ধারণ করব এটা কখন কীভাবে জানাতে হবে।”