রোববার মামলাটিতে প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে আদালতে হাজির হয়েছিলেন সদ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত মেয়রপ্রার্থী ইশরাক।
তার আইনজীবী নুরুজ্জামান তপন বলেন, ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৩ মার্চ নতুন দিন ঠিক করেছেন।
ঢাকা সিটি নির্বাচনের প্রচারণা চলার মধ্যেই গত ১৫ জানুয়ারি ইশরাকের বিরুদ্ধে নয় বছরের আগের মামলাটিতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য শুরুর তারিখ রেখেছিলেন বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
সম্পদের তথ্য-বিবরণী চেয়ে দুদক ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক ও তার বোন সারিকা সাদেককে আলাদা নোটিস দিয়েছিল।
নোটিসে তাদের নিজের নামে এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের ‘স্বনামে বা বেনামে’ বা তাদের পক্ষে অন্য কোনো নামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ-সম্পত্তির দায়-দেনা, আয়ের উৎসসহ বিস্তারিত বিবরণ সাত কার্যদিবসের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছিল।
কিন্তু তারা তা না দেওয়ায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম ২০১০ সালের ২৯ ও ৩০ আগস্ট রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। ইশরাক ও সারিকা দুদকের নোটিস চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট আবেদন করলেও বিফল হন।
২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ২০১৯ সালের ৫ মে অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই দিন ইশরাক আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ইশরাকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল।
এরপর ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর হাই কোর্টে আগাম জামিনের জন্য যান ইশরাক। তখন চার সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী গত ৯ ডিসেম্বর ইশরাক আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।