ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
Published : 03 Feb 2020, 12:35 AM
ভোটের পরদিন রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবেদ আলী এ দাবি করে বলেন, তাদের ৫০৭ জন সদস্য শনিবারের ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে আরেকটি সংগঠনও এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
আবেদ আলী জানান, এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১২৯টি ওয়ার্ডের দুই হাজার ৪৬৮টি ভোট কেন্দ্রে তাদের প্রশিক্ষিত নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা ভোট পর্যবেক্ষণ করেছেন।
“নির্বাচন পূর্ববর্তী এবং নির্বাচনকালীন সময়ে আমাদের ফোরামের পর্যবেক্ষকদের সংগ্রহ করা তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে এই কথা বলা যায় যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে।”
আবেদ আলী বলেন, “এই নির্বাচনে ভোটের হার কম হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছার অভাব ও উদাসীনতা লক্ষ্য করছি। কারণ দেশের দুইটি বৃহত্তম দলের উল্লেখযোগ্য ভোট ব্যাংক রয়েছে। তারা সচেষ্ট হলে ভোটারদের উপস্থিতির হার আরও বাড়তে পারত।”
প্রথম বারের মতো এত বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট গ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা মনে করি ইভিএমে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জনগণকে আরও বেশি উৎসাহিত করার প্রয়োজন ছিল। তাহলে ভোট প্রদানের হার আরও বৃদ্ধি হতে পারত।”
তিনি বলেন, “তবে সকল দলের স্বঃতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সকল কেন্দ্রে একযোগে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের কারণে এবারের নির্বাচন ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।”
সংবাদ সম্মেলনে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে।
এগুলোর মধ্যে ইভিএম নিয়ে ভোটারদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিবন্ধিত পর্যবেক্ষক সংগঠনগুলোর মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ, আগামী নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা বাড়ানো, চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় লেমিনেটিং বা প্লাস্টিক মোড়ানো পোস্টার ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।