পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়াসহ একগাদা অভিযোগ তাবিথের

বেশিরভাগ কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া ও মারধর করে বের করে দেওয়াসহ নির্বাচনী অনিয়মের একগুচ্ছ অভিযোগ এনেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2020, 10:45 AM
Updated : 1 Feb 2020, 10:45 AM

ভোট চলার মধ্যেই শনিবার দুপুরে তাবিথের প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুলহাস উদ্দিন নির্বাচন কমিশনে এসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

ঢাকা উত্তরের ৫৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া, এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া, বিএনপির ভোটারদের ভোট দিতে না দেওয়া, ইভিএম হ্যাক করার অভিযোগ করেন তিনি।

জুলহাস সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (রিটার্নিং অফিসার) আমার কথাই শুনলেন না। আর দুই-তিন ঘণ্টা সময় আছে, এখন ব্যবস্থা না নিলে কখন নেবেন? তিনি ফোন করে খোঁজ-খবর নিতে পারেন, প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেবেন। তিনি তো অভিযোগ রেখেই দিলেন।”

পরে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং অফিসার আবুল কাশেম সাংবাদিকের বলেন, “সকাল থেকে আমি বেশ কয়েকটি কেন্দ্র দেখেছি। সব কেন্দ্রে দুই দলেরই এজেন্ট পেয়েছি। ভোটার উপস্থিতি কম ছিল তবে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেখিনি।

“তারা ঢালাওভাবে অভিযোগ করেছে। কোনো স্পেসিফিক অভিযোগ করেনি। নির্দিষ্ট অভিযোগ না দেওয়ার ফলে ব্যবস্থা নিতে অসুবিধা হচ্ছে।”

কেন্দ্রে সংঘাতের বিষয়ে তিনি বলেন, “মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে কোথাও কোনো ঝামেলা হয়নি। কয়েকটি কেন্দ্রে কাউন্সিলদের নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। কোথাও কোনো ঝামেলা হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে বলা হয়েছে।”

এর আগে সকালে গুলশানের মানারাত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বিএনপির পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগের পরও কমিশনের গাফিলতির অভিযোগ করেন তাবিথ।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “নির্বাচনের পরিস্থিতি বর্তমানে খুব ভয়াবহ। ভোটারদের উপস্থিতি একেবারে কম। আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমি বিভিন্ন কেন্দ্রে যাচ্ছি। নিজে গিয়ে ভোটারদের আর এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকাচ্ছি।

“প্রশ্ন হল আমাকে আসতে হয় কেন? পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে, প্রিজাইডিং অফিসাররা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না। তারা দায়সারাভাবে কাজ করছেন। সকাল থেকে নির্বাচন কমিশন নিজেদের ব্যর্থ প্রমাণ করেছে।”

তাবিথ বলেন, “আমি তো চেষ্টা করছি, ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে। তাদের আশ্বাস দিচ্ছি, তারা যেন কোনো শঙ্কা ফিল না করেন। তবে এমন পরিস্থিতি খুব ভয়াবহ।”

বেলা ১টায় নগরীর পাঁচটি স্পট ঘুরে তিনি অভিযোগ করেন, তার দেখা ৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮টি কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছিল। পরে তাবিথের উপস্থিতিতে এজেন্টরা আবার কেন্দ্রে যান।

“এমন পরিস্থিতিতে আমরা সবাই আসলে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছি। ঝুঁকি তো তাদেরও নিতে হবে।”