উহানফেরত ৩১২ জনের মধ্যে ৮ জন হাসপাতালে

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনের অবরুদ্ধ নগরী উহান থেকে দেশে ফেরানো ৩১২ জনের মধ্যে আটজনের শরীরে জ্বর থাকায় তাদের পাঠানো হয়েছে ঢাকার দুটি হাসপাতালে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2020, 06:55 AM
Updated : 1 Feb 2020, 12:22 PM

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে শনিবার বেলা ১১টা ৫৪ মিনিটে এই বাংলাদেশিরা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান বলে বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহারিয়ার সাজ্জাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জ্বর থাকায় আটজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের নেওয়া হয়েছে আশকোনো হজ ক্যাম্পে।”

চীনফেরত এই বাংলাদেশিদের যে আশকোনো হজ ক্যাম্পে রেখে ১৪ দিন পর্যবেক্ষণ করা হবে, সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

পর্যবেক্ষণের এই সময় তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য স্বজনরা যেন ব্যাকুল না হয়ে পড়েন সেজন্য তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

আশকোনো হজ ক্যাম্পে তাদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ ও সেনা সদস্যরা। কারও মধ্যে সংক্রমণের লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানান্তর করা হবে হাসপাতালে।

দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সবাইকে পরীক্ষা করা হয়। তারপর বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের গেট দিয়ে বের করার ব্যবস্থা করে সিভিল এভিয়েশন। বিমান নামার পর কার্গো টার্মিনালের গেট দিয়ে বিআরটিসির আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস এবং কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এনে রাখা হয়। যাত্রীদের মালামাল নেওয়ার জন্য আসে চারটি ট্রাক।

সেসব বাসে করেই আশকোনায় ‘কোয়ারেন্টাইনে’ নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বেলা আড়াইটার দিকে আশকোনা হজক্যাম্পের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, এ বিমানে উহান থেকে ৩১২ জন এসেছেন। এদের মধ্যে ২৯৭ জন পূর্ণবয়স্ক, ১২ জনের বয়স এক বছরের ওপরে এবং তিনজনের বয়স এক বছরের নিচে।

“প্রথমে ৩৬১ জনের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩১৬ আসবে বলে ঠিক হয়। এরা বিমানবন্দরে আসার পর চারজন আসে নাই। সেখানে থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে যখন এসেছে তখন তাদের গায়ে জ্বর আছে বলে জানা গেছে। অবজারভেশনের জন্য তাদের বলা হয়েছে এই ফ্লাইটে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে যাওয়া ঠিক হবে না।”

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, বিমানবন্দর থেকে আটজনকে দুটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

“তাদের মধ্যে তিনজনের ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো জ্বর আছে। বাকিদের শরীরেও জ্বর থাকায় তাদের এখানে না এনে সরাসরি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে এখনই সন্দেহ করা হচ্ছে না।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, যাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে সাত মাসের অন্তঃস্বত্বা একজন নার্সও আছেন।

আরও পড়ুন