ভোটের পরিবেশে ‘সন্তুষ্ট’ সিইসির আশা ভোটার বাড়বে

ঢাকা সিটি নির্বাচনে সকালের পালায় কেন্দ্রে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2020, 06:34 AM
Updated : 1 Feb 2020, 10:01 AM

সকাল ৮টায় শুরুর পর থেকে ভোটের তিন ঘণ্টার পরিস্থিতি নিয়েও সন্তুষ্ট তিনি।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে উত্তরা পাঁচ নম্বর সেক্টরের আইইএস স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সিইসি।

তিনি বলেন, “ভোটারের উপস্থিতি এখন পর্যন্ত ভালো না। দেখলাম ২৭৬ জন ভোটার এখানে আসছেন সকালের দিকে। পরে আসবে আশা করি।

“কোথাও থেকে আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই। আসার সময় টেলিভিশনে দেখলাম, ভোটাররা যাচ্ছে। ইভিএমের বিষয়ে মানুষের ইতিবাচক সাড়া আছে। যাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তারা বুঝে নিচ্ছে। বুঝে নিয়ে ভোট দিয়ে তারা খুশি।”

গোলযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নে নূরুল হুদা বলেন, “এমন ভোট আমরা চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা আছে তাদের প্রতি আমার নির্দেশ তারা এ জাতীয় পরিস্থিতি ঘটলে সাথে সাথে যাতে ব্যবস্থা নেয়। প্রার্থী, ভোটার, সমর্থকদের প্রতি আহ্বান, আমার অনুরোধ তারা যেন পরিবেশ-পরিস্থিতি শান্ত রাখেন। ভোটের স্বপক্ষে যে পরিবেশ সেটা যেন বিরাজ থাকে।”

ইভিএমে অনেকে ভোট দিতে পারছে না এমন অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, “৩-৪টি উপায় আছে। আইডি কার্ড দেখতে পারে, পুরনো কার্ড দেখতে পারে। নম্বর মেলালে ছবি আসবে, ভোট দিতে পারবে।”

 

ভোটারের উপস্থিতি কম কেন, ইসি কি আস্থা তৈরি করতে পারেনি-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেটা কথা না। পরে আসবে। ভোটার আসবে। সেটা প্রার্থী, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাদের দায়িত্বই সবচেয়ে বেশি। আমরা পরিবেশ সৃষ্টি করেছি। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতির কোনো কমতি নেই।”

এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট যারা আছে তাদের প্রতি কড়া নির্দেশ- এরকম অভিযোগ যদি পায় সাথে সাথে সেই এজেন্টকে আবার কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিয়ে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

“আর যারা এজেন্ট, তাদের প্রতি অনুরোধ এরকম কোনো ঘটনা যদি ঘটে, আশপাশে ম্যাজিস্ট্রেট আছে। প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে যাবে। বাইরে এসে নিকটবর্তী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যাবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তা যারা আছে তাদের সাহায্যে ভেতরে যাবে। বের করে দিয়েছে এমন প্রত্যক্ষ কোনো অভিযোগ আসেনি। যারা এজেন্ট তাদের সমর্থ থাকতে হবে টিকে থাকার। কেউ বেরিয়ে যেতে বলল, আর বেরিয়ে যাবে সেটা ম্যানেজ করা কঠিন। এজেন্ট যেন তাৎক্ষণিকভাবে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে যায়। বলল, বেরিয়ে গেছি- এর না আছে অভিযোগ, না আছে ভিত্তি।”

এজেন্টরা কি প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, “উচিত তাই। বললেই বেরিয়ে যাবে এটা প্রতিহত করা উচিত। সে বলবে, যাব না।”

সবশেষে ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট।”