কেউ বললেই কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাবেন না: এজেন্টদের সিইসি

সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের ভূমিকা প্রত্যাশা করে কেউ বললেই কেন্দ্র থেকে বের হয়ে না যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন  প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

সাবিকুন্নাহার লিপিসাবিকুন্নাহার লিপিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Jan 2020, 06:58 PM
Updated : 31 Jan 2020, 06:58 PM

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে ভোটের আগের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আশা করি দুই সিটিতে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। কোথাও কোনো অসুবিধা নেই। ভোটাররা নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করবেন।”

তিনি বলেন, “সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি, নির্বাচনের সামগ্রী বিতরণ দেখেছি। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনো অসুবিধা নেই। মালামাল পৌঁছে গেছে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা বলেছেন, কোথাও কোনো রকমের আশঙ্কা নেই।”

ভোটকেন্দ্রে কোনো অনিয়ম হলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা কী হবে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, “এজেন্টদের প্রতি প্রথম অনুরোধ, তারা যেন দায়িত্ব নিয়ে থাকেন। কেউ এসে বলল আর বের হয়ে যাবেন, কেউ তাকে রাখবেন না তখনই বের হয়ে যাবেন- তা যেন না করেন।

“এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা যদিও নাই, তবু যদি ঘটেও টহলদার বাহিনী থাকবে, প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে, তাদের বলবেন। সুতরাং এটার কোনো সম্ভাবনা নাই। যদি নিজে থেকেই বেরিয়ে না যায় তাহলে কিন্তু এজেন্টদের বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই।”

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে বলেছিলেন বলে জানান নূরুল হুদা।

“যখনই তারা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকবে, তখনই তাদের দেখভাল করার দায়িত্ব কিন্তু যারা ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। এজেন্ট কাউকে না জানিয়ে অনেক সময় বের হয়ে যায়, তখন বলে যে আমাদের এজেন্ট নেই। এমন হলে তো হবে না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি থাকে, যদি না শুনে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করবেন। আমাদের পর্যন্ত আসার দরকার নেই,” বলেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবে না।

“বুথের মধ্যে একজনেরটা আরেকজন পারতে পারে। কিন্তু কে সেটা? যদি সে ভোটার অন্ধ হয়, যদি সে ভোটার অক্ষম হয়, যার হাত ব্যবহার করতে পারে না। আগে যে নিয়ম ছিল সেটাই রাখা হয়েছে। মা যদি অন্ধ হয় তবে ছেলে যাবে, কিন্তু ব্যবহার হবে মায়ের আঙুলের ছাপ, তার ভোটই ওপেন হবে, সেটাতেই ভোট দিতে হবে।”

এবার সুষ্ঠু ভোট নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী নূরুল হুদা বলেন, “আগে যেমন হত ছিনতাই টিনতাই হত। ভোটার না গেলেও ভোট হয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। ইভিএম এমন একটি বিষয়, ভোটারকে সেখানে যেতে হবে।”

নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেযিং ফিল্ড নেই’ বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, “তারা প্রচার করেছে, মিছিল করেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়েছে, কোথায় তাদের বাধা দিয়েছে? এটা ঠিক না।

“আশা করি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ নির্বাচন হবে। এতকিছুর পরে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সকলের সহযোগিতা দরকার। ইভিএম নতুন একটি প্রযুক্তি। অবশ্যই সকলের সহযোগিতা দরকার। অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ছিলাম। এখন বিশ্বাস করি, কমিশনের একটি স্বপ্ন যে এটার মাধ্যমে ভোটার তার নিজের ভোট দিতে পারবে। এটাকে সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা করতে হবে।”

ভোটারদের কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, “ভোটাররা নির্বিঘ্নে অবাধে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের কোনো অসুবিধা নেই। প্রচারের সময় যেভাবে প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন, সমর্থকরা যেভাবে রাস্তায় নেমে এসেছে, ওটা একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সব দল অংশ নিয়েছে। ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হলে পরিবেশ সুন্দর হয়।”