বিদেশি পর্যবেক্ষকে বাধা নেই: সিইসি

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিতে আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2020, 03:19 PM
Updated : 30 Jan 2020, 05:49 PM

বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল বিদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ির অভিযোগ করে। অন্যদিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল অভিযোগ করে, সরকারি দলের পক্ষে কাজ করতে দেশের অনেকে পর্যবেক্ষক হয়েছে।

সিইসি বলেন, “বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিধিতে আছে তারা যেতে পারবে, তাদের নিবন্ধন প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা তো বাইরে থেকে আসেনি, তারা এখানকার। বিভিন্ন দূতাবাসে যারা আছেন, তারা এখানকার। তারা তালিকা দিলে আমরা পরীক্ষা করে তাদের অনুমতি দিতে পারি।

“সে অনুমতি আছে, গাজীপুরসহ বিভিন্ন সিটি নির্বাচনেও তারা পর্যবেক্ষণ করেছে। তাদের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই থাকবে। তারা যেন বিধির বাইরে যেন কোন রকম আচরণ করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্কতা থাকবে।”

পর্যবেক্ষকরা যেন তাদের সীমা লঙ্ঘন না করে, সে বিষয়ে ইসি সতর্ক আছে বলে জানান নূরুল হুদা।

কূটনীতিকদের ‘বাড়াবাড়ি’ নিয়ে আওয়ামী লীগের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত আমরা ওরকম কিছু দেখিনি। তারা নিয়ম মেনেই কমিশনে এসেছেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে সুন্দর আলোচনা হয়েছে।”

দেশি কর্মকর্তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক করা ঠিক হয়নি: ছহুল

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষণ সংস্থার পক্ষ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকাটাই শ্রেয়। দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক করা ঠিক হয়নি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোট দেখতে পর্যক্ষেণ সংস্থাগুলোর লোকজন নানা পরিকল্পনা নিয়ে আসেন, তাদের ট্রেনিংও রয়েছে। কিন্তু দূতাবাসের লোকজন যারা দেশীয়, তারা ভোট দেখতে যাবেন কেন? তাদের পর্যবেক্ষণে ঘাটতি থাকতে পারে। এসব কর্মকর্তাদের বিদেশি পর্যবেক্ষক পরিচয় কার্ড করা ঠিক না।”

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা সিটি নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দূতাবাসের  ৪৬ জন বিদেশি নাগরিক ও ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক পর্যবেক্ষক কার্ড সংগ্রহ করেছেন।

আওয়ামী লীগের সভা করা উচিত হয়নি: সিইসি

ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দুই দিন আগে কমিশনকে না জানিয়ে আওয়ামী লীগের মুজিববর্ষের সভা করা উচিৎ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি নূরুল হুদা।

তিনি বলেন, “আজকে সভার বিষয়ে তারা আগে আমাদের কিছুই জানায়নি। পরে উনারাই (বিএনপি) জানালেন জনসভা হচ্ছে। পরে চেক করে দেখলাম সভা হচ্ছে। সেটা নির্বাচন সংক্রান্ত জনসভা নয়, মুজিব বর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হচ্ছে।

“সেখানে নির্বাচন নিয়ে যদি কিছু না বলে তাতে নির্বাচনের কোড অব কনডাক্ট ভায়োলেট হবে কি না, তা আলাদাভাবে বলা নেই। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সভাটা তাদের না করাই উচিৎ ছিল। আর করার দরকার হলে আমাদের অনুমতি বা পরামর্শ নেওয়া উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা সেটি নেননি, আমরা জানিই না।”

নূরুল হুদা বলেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রার্থীরা তাদের প্রচার চালাচ্ছেন। কোনো ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটছে না।

“তবে কোন ক্রিমিনাল, সন্ত্রাস, বোমাবাজ যদি এখানে আসে তাদেরকে তো পুলিশ নজরদারিতে রাখবে। পুলিশ বিভাগ তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী কাজ করবে।”