কূটনীতিকরা ‘কোড অব কন্ডাক্ট’ মেনে কাজ না করলে তাদের বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে ঢাকায় কর্মরত পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনীতিকরা বেশ তৎপর। ইসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রার্থীর সঙ্গেও দেখা করে তারা বলছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা থেকে তাদের এই পদক্ষেপ।
তবে বৃহস্পতিবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কূটনীতিকদের আচরণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “বেশ কিছু বিদেশি কূটনীতিক ব্রিটিশ হাইকমিশনে মিলিত হয়েছিলেন। তারা নিজেদের কাজ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাচ্ছেন, যা একবারেই উচিৎ নয়।
“কূটনীতিকরা এসব বিষয়ে কোড অব কন্ডাক্ট মেনে কাজ না করলে তাদের দেশ থেকে চলে যেতে অনুরোধ জানানো হবে।”
মোমেন বলেন, “এ নির্বাচন হবে আদর্শ নির্বাচন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন। এই নির্বাচন অত্যন্ত স্বচ্ছ হবে।”
কূটনীতিক ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তৎপরতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে গিয়ে অভিযোগ জানিয়েছে।
গত সংসদ নির্বাচনে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ক্যামেরা নিয়ে বুথের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন জানিয়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে দিকে সতর্ক থাকতে ইসিকে অনুরোধ করেছে আওয়ামী লীগ।
ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, “মান্যবর রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যত্ন কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে।”