ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আপাতত কোথাও কোনো ঝুঁকি তিনি দেখছেন না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দলে থাকা বিএনপির পক্ষ থেকে যখন ‘বহিরাগত ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী’ ঢাকায় জড়ো করার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তখনই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য এলো।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ বিষয়ে কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।
“আমি মনে করি, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সুন্দর রয়েছে।"
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ২ হাজার ৪৬৮টি কেন্দ্রে একটানা ভোট চলবে। নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার থেকেই মাঠে নামতে শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্য।
পাল্টা বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্র দখল করতে আওয়ামী লীগই সশস্ত্র সন্ত্রাসী জড়ো করছে।
নির্বাচন কমিশন অবশ্য এই বাগযুদ্ধে ততটা উদ্বিগ্ন নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গত সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ভোটের পরিবেশ নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে, সামান্য ঘটনা ধর্তব্য নয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বৃহস্পতিবার বলেন, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।”
‘ছোটখাটো’ যে দু-একটি ঘটনা ঘটছে, সে বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে ভোট মানেই উৎসব। সবাই আনন্দের সঙ্গে ভোট দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিকে জয়ী করেন। এবারও এ ঘটনার ব্যত্যয় ঘটবে না, এবারও ভোটাররা ভোট দিয়ে তার প্রিয় ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন।”
কোন কেন্দ্রগুলোকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বিবেচনা করা হচ্ছে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “কোথাও কোনো ঝুঁকি নেই। ইসি যেভাবে যেখানে মনে করছে, সেখানেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।”