আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা যাবে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পাঠানো হচ্ছে দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2020, 09:16 AM
Updated : 16 March 2020, 12:52 PM

বৃহস্প‌তিবার এ মামলায় অভিযোগ গঠ‌নের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও সে বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কা‌য়েশ এ তথ্য জানান।

তিনি ব‌লেন, “মামলা‌টি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনা‌লে বদ‌লি হ‌বে। সেজন্য কিছু আনুষ্ঠা‌নিকতা আছে। সরকার সেই আনুষ্ঠা‌নিকতা শেষে গে‌জেট জা‌রি কর‌লে বদ‌লির আদেশ হ‌বে।”

এরপর অভিযোগ গঠনের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বিচারক।

এ সময় ক‌য়েকজন আসা‌মির প‌ক্ষে জা‌মিন আবেদন করা হলে শুনা‌নি না ক‌রে বিচারক বলেন, মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি হলে সেখানেই জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি করা হবে। 

বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

পরদিন আবরারের বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে।

পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যে অভিযোগপত্র জমা দেন, সেখানে আসামি করা হয় মোট ২৫ জনকে।

অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। তাদের মধ্যে একজন পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য মামলার নথিপত্র গত ১৩  মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। গত ২১ জানুয়ারি তা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ৩০ জানুয়ারি তারিখ রাখেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি নতুন তারিখ দিলেন।

এ মামলায় কারাগারে থাকা ২২ আসামি হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, বহিষ্কৃত তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার, বহিষ্কৃত ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, বহিষ্কৃত উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, বহিষ্কৃত সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, ইসতিয়াক হাসান মুন্না, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, মনিরুজ্জামান মনির ও আকাশ হোসেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হোরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এস এম মাহমুদ সেতু, এজাহারের বাইরের ছয় আসামি হলেন-বুয়েট ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, মাহামুদ সেতু ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম।

পলাতক বাকি তিন আসামি হলেন- ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মাহমুদুল জিসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মুজতবা রাফিদ।