বুধবার বিকেলে গণপ্রকাশনের আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই সভা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বাংলা সাহিত্যে এই কথাশিল্পীর অবস্থানকে ‘চিরস্থায়ী’ উল্লেখ করে বলেন, “শওকত আলীর রচনা আমার বিশ্বাস, সমাদৃত হয়েছে পাঠক সমাজে এবং তিনি আমাদের মধ্যে বিশিষ্ট এটি সর্বজনে স্বীকার করে নিয়েছে। আজকে তিনি নেই কিন্তু তার যে রচনাগুলো আছে এবং তিনি বাংলা সাহিত্যে যে অবদান রেখে গেছেন তার জন্য বাংলাদেশের মানুষ তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।”
কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, “সাতচল্লিশ পরবর্তী সময়ে বাংলা ভাষার মাধ্যমে বাঙালি ধারার ক্ষেত্রে যে সব সাহিত্যিকরা অবদান রেখে গেছেন তার মধ্যে শওকত আলী অন্যতম।”
তার রচনাবলী স্কুল-কলেজে পাঠ্য হিসেবে নিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি বলেন, “শওকত আলীর লেখার মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজের জাতিগত ঐতিহ্যকে ধারণ করতে পারবে।”
কবি ও কথাসাহিত্যিক মুজতবা আহমেদ মুরশেদ বলেন, “সমাজ বিনির্মাণে যে মানবিক বৃত্তিগুলো জাগ্রত করা প্রয়োজন, শওকত আলীর রচনায় সেই গুণগুলো ছিল। তার কাজের মধ্যে সেই শক্তিকে ধারণ করার জন্যই আগামী প্রজন্ম তাকে স্মরণ করবে। কারণ তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ভাষার মাধ্যমে প্রতিবাদ করতে হয়।”
সভাপতির বক্তব্যে সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, “শওকত আলী সব বয়সী মানুষের জন্যই লিখে গেছেন এবং সহজ ভাষায় লিখে গেছেন। তার রচনাবলীর মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাকে স্মরণ করবে।”