প্রাকৃতিক গ্যাস নিজেদের জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশে যে প্রাকৃতিক গ্যাস রয়েছে তা এদেশের জনগণের কল্যাণে ব্যবহারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Jan 2020, 10:21 AM
Updated : 29 Jan 2020, 10:21 AM

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংস্থা গ্যাজপ্রমের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি একথা বলেন।

জাতীয় সংসদ ভবনে ওই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের যে প্রাকৃতিক গাস রয়েছে তা আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের কল্যাণে ব্যবহার করতে চাই।”

রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করছে।

“রাশিয়া সব সময়ই আমাদের সহযোগিতা করেছে।”

প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, স্বাধীনতার পর চট্টগ্রাম বন্দরকে মাইন মুক্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু রুশ নৌ সেনা জীবন দিয়েছিলেন

খনিজ অনুসন্ধানে ইউরোপের সবচেয়ে বড় কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সকে জ্বালানি অনুসন্ধান ও কূপ খনন বিষয়ক বিভিন্ন কাজে কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে গ্যাজপ্রম। পাশাপাশি প্রয়োজন মনে করলে কোনো প্রকল্পে অর্থায়নও করবে তারা।

প্রাথমিকভাবে ভোলার শাহবাজপুর, ভোলা নর্থ ও ভোলা নর্থ-১ এই তিনটি গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে আরও বৃহত্তর পরিসরে অনুসন্ধান কাজ চালাতে বাপেক্সকে সহায়তা দেবে গ্যাজপ্রম।

এই সমঝোতা স্মারক সইয়ের কথা প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন গ্যাজপ্রম প্রতিনিধিরা। বন্ধুত্বপ্রতীম দুই দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্রে এই চুক্তিকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ অভিহিত করেন তারা।

এই সমঝোতা স্মারক আরও বড় বিষয়েও সহযোগিতার সুযোগকে উন্মুক্ত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গ্যাজপ্রম প্রতিনিধিরা।

গ্যাজপ্রম ২০২৪ সাল নাগাদ বাংলাদেশে এলএনজি সরবরাহে আগ্রহী বলে জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই. ইগনেটভ উপস্থিত ছিলেন।