দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের ১১৭টি শূন্যপদে অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এক মাসের মধ্যে অগ্রগতির প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে এক রিট আবেদন ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতিবেদন নিয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে শুনানি করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল প্রহ্লাদ দেবনাথ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের কারা হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক ও মানসম্মত কারাবাস থাকার জায়গা নিশ্চিত করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত ২৩ জুন সব কারাগারের বন্দি ধারণক্ষমতা, বন্দি ও চিকিৎসকের সংখ্যা এবং চিকিৎসকের শূন্য পদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করে আদালত।
বন্দিদের মানসম্মত থাকার জায়গা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এবং শূন্যপদে কারা চিকিৎসক নিয়োগ দিতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা বিভাগ), স্বাস্থ্য সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের নভেম্বরে কারা কর্তৃপক্ষের দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ৬৮টি কারাগারে ১৪১টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক মাত্র ৯ জন; যেখানে বন্দি আছেন ৮৬ হাজার ৯৯৮ জন, যা ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি।
২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ২০ জন চিকিৎসককে বিভিন্ন কারাগারে নিয়োগ দেওয়া হলেও স্বাস্থ্য বিভাগ এখনও ১৬ জনের পদায়ন নিশ্চিত করেনি। পদায়নের অনুরোধ জানিয়ে ৫৫ বার চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে এই ১৬ জনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ব্যবস্থা নিতেও চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
চিকিৎসক নিয়োগের জন্য নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আরো জানায়, অনুমোদিত ১৪১ কারা চিকিৎসকের মধ্যে ১১৭টি পদ শূন্য আছে।
আগে থেকে কাজ করছেন ৯ জন। সম্প্রতি আরও ১৫ জনকে সংযুক্ত করা হয়েছে, যারা ফরিদপুর, রাজবাগড়ী, যশোর, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, পাবনা, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, কাশিমপুর, মানিকগঞ্জ, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, কক্সবাজার কারা হাসপাতালে যোগ দিয়েছেন।